যে কারণে কলকাতায় সাকিব-লিটনদের অধিনায়ক নীতিশ

Nitish Rana

শ্রেয়াস আইয়ার চোটে ছিটকে যাওয়ার পর থেকেই অধিনায়কত্ব নিয়ে চিন্তায় ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে নাম আসছিল অনেকের। এমনকি বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, লিটন দাসদের নিয়েও অল্প কিছু আলোচনা দেখা গেছে। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বাঁহাতি ব্যাটার নীতিশ রানাকেই বেছে নিয়েছে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্লেষকরা এর পেছনে দেখছেন কয়েকটি কারণ।

নীতিশের সঙ্গে অধিনায়কত্বের দৌড়ে ছিলেন সুনিল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, সাকিব আর লিটন। নারাইন আইএল টি-টোয়েন্টিতে নাইট রাইডার্সেরই ফ্র্যাঞ্চাইজি আবুধাবি নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু তার নেতৃত্বে দলটি মাত্র এক ম্যাচ জিতে তলানিতে ছিল।

নাইরাইন ডিমেরিট খেয়েছেন সেখানে। একাদশে তার জায়গা নিয়মিত হলেও নেতৃত্ব গুণে পিছিয়ে গেছেন তিনি। রাসেল হতে পারতেন যোগ্য বিকল্প। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে তার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তার অধীনে একবার শিরোপা জিতেছে রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু রাসেলকে পিছিয়ে দিয়েছে চোট সমস্যা।

সবগুলো ম্যাচ চোটমুক্ত থেকে নিশ্চিতভাবে খেলার সম্ভাবনা রাসেলের নেই। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর তাকে তাই অধিনায়কত্ব দিতে চাননি দলটির কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত।

নেতৃত্বের আলোচনায় থাকা সাকিব ও লিটন বিবেচিত হননি সব ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা না থাকায়। বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের জন্য শুরুর দুই ম্যাচে থাকছেনা না। শেষ দিকেও আয়ারল্যান্ড সফর থাকায় তাদের তিন ম্যাচ পাওয়া যাবে না। এছাড়া দলের সমন্বয়ের কারণে সাকিবকে সব ম্যাচ খেলানোও সম্ভব না। লিটনকে খেলালেও তাকে পুরো টুর্নামেন্টে পাওয়া যাচ্ছে না। এই দুজনের দিকে তাই আর এগুতে পারেনি দলটি।

স্থানীয় ভারতীয়দের মধ্যে নীতিশ ছাড়া আর কারোরই সব ম্যাচ খেলার গ্যারান্টি নেই। এই জায়গায় এগিয়ে গেছেন তিনি। নীতিশকে এগিয়ে রেখেছে ঘরোয়া ক্রিকেতে তার অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতাও। বিজয় হাজারে ট্রফিতে দিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়ে একবারে খারাপ করেননি নীতিশ। এছাড়া দলের সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক থাকায় তাকে দিয়ে আপাতত কাজ চালিয়ে নিতে চাইছে কেকেআর।

১ এপ্রিল মোহালিতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে আইপিএলে এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

Comments

The Daily Star  | English

AL govt’s secret surveillance state

From snooping devices carried in backpacks to locate people through their phones to a massive infrastructure that can intercept even end-to-end encryption from a central command centre, the Awami League government had been on an increasingly aggressive trajectory towards building a powerful surveillance state. 

14h ago