সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা: নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮

দুর্ঘটনাকবলিত বাস। ছবি: আল এরাবিয়া

সৌদি আরবে গত সোমবার বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর (শ্রম শাখা) কাজী এমদাদ আজ বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত সোমবার বিকেলে আসির প্রদেশের আভা জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কাউন্সেলর কাজী এমদাদ জানান, মক্কার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৬ জন বাংলাদেশি চিকিৎসাধীন আছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার বিকেলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। পরে সেটি রাস্তার পাশে উল্টে যায় এবং বিস্ফোরিত হয়।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মক্কাগামী বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বাংলাদেশি ছিলেন।

এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ নাজমুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় নিহতদের জাতীয়তা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। এজন্য ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হবে এবং কতদিনে তা সম্পন্ন করা যাবে, তা বলতে পারছি না।'

মৃতদের মধ্যে কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস উদ্দিন মীর (৪৯) গত ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে কেবল টিভি টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছিলেন।

দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে এবারের ঈদের ছুটিতে তিনি দেশে আসবেন। এখন তার লাশের অপেক্ষায় তার পরিবার।

গিয়াস ছাড়াও নিহত আরও দুজনের বাড়ি কুমিল্লা। তারা হলেন মোস্তাপুর গ্রামের মামুন ও মুরাদনগর উপজেলার রাসেল মোল্লা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে ১০ জন নিহতের পরিচয় প্রকাশ করেছে।

তারা হলেন-নোয়াখালীর সেনবাগের শহিদুল ইসলাম, নোয়াখালীর মো. হেলাল উদ্দিন, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসেন, কক্সবাজার মহেশখালীর মো. আসিফ ও সিফাত উল্লাহ, টঙ্গীর মো. ইমাম হোসেন রনি, চাঁদপুরের রুকু মিয়া, মোহাম্মদ নাজমুল (জেলা অজ্ঞাত), যশোরের রনি এবং কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।

নিহতদের মধ্যে পরে তুষার মজুমদার, সাকিব, রানা, রুহুল আমিন ও মিরাজ হোসেনের নাম জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago