পাবিপ্রবি

ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার ৩ শিক্ষার্থীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

দিনভর হাসপাতাল, থানায় যোগাযোগের পর আজ বুধবার সন্ধ্যায় তারা পরিবারের কাছে গেছেন।
পাবিপ্রবি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের নির্যাতনে আহত ৩ শিক্ষার্থীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। 

দিনভর হাসপাতাল, থানায় যোগাযোগের পর আজ বুধবার সন্ধ্যায় তারা পরিবারের কাছে গেছেন।

তারা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের গোলাম রহমান জয়, ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আসাদুল ইসলাম এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল হক। 

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বিকেল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পক্ষে কেউ কোনো অভিযোগ না করেনি বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ৩ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় আপেল, শেহজাদ, তৌফিকসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে তাদের শিবির বলে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হলে নিয়ে যায়।

ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের স্ট্যাম্প, রড, হকিস্টিক, হাতুড়ি, জিআই পাইপ দিয়ে মারধর করে। মারধরে গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থীদের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেন তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশ পরে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

পুলিশ জানায়, আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গোলাম রহমানকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে তার বড় ভাই উকিল উদ্দিনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসাদুলকে তার বাবা আবুল কালাম এবং আজিজুলকে তার চাচা মো. কাইয়ুমের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। 

জানতে চাইলে প্রক্টর ড. কামাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কয়েকজন শিবিরের নেতা ক্যাম্পাসে বৈঠক করছিল। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে। আমরা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।'

যোগাযোগ করা হলে পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগ কাউকে নির্যাতন করেনি। ওই ৩ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে শিবিরের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। তারা ক্যাম্পাসে গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের পুলিশে সোপর্দ করে।

Comments