৬০ বছরের পুরনো স্মৃতি ফেরালেন বেনজেমা-ভিনিসিয়ুসরা

ছবি: এএফপি

বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় টানা তিনটি এল ক্লাসিকো হারের পর রাজকীয় কায়দায় ঘুরে দাঁড়াল রিয়াল মাদ্রিদ। করিম বেনজেমার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে উড়িয়ে কোপা দেল রের ফাইনাল নিশ্চিত করল তারা। সেই সঙ্গে লস ব্লাঙ্কোরা ফিরিয়ে আনল ৬০ বছরের পুরনো স্মৃতি।

বুধবার রাতে আসরের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে রিয়াল। প্রতিপক্ষের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে তাদের জয়ের নায়ক ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিকের স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি তিনি অ্যাসিস্ট করেন ভিনিসিয়ুসকে জুনিয়রকে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুসও অবদান রাখেন বেনজেমার একটি গোলে।

ছবি: এএফপি

মুখোমুখি লড়াইয়ে বার্সাকে তাদের মাঠেই কমপক্ষে ৪ গোল হজম করার তিক্ত স্বাদ রিয়াল দিল ৬০ বছর পর। ১৯৬৩ সালের জানুয়ারিতে ক্যাম্প ন্যুতে লা লিগার ম্যাচে ৫-১ গোলের বিশাল জয় পেয়েছিল তারা। ওই ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন সফলতম এই স্প্যানিশ ক্লাবের তিন কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাস, আলফ্রেদো দি স্তেফানো ও পাকো হেন্তো। হ্যাটট্রিক করেছিলেন প্রয়াত হাঙ্গেরিয়ান তারকা পুসকাস।

সব মিলিয়ে বার্সেলোনার জালে ৪ গোল দেওয়ার কৃতিত্ব ২০০৮ সালের পর এই প্রথম দেখাল রিয়াল। ওই বছরের মে মাসে লা লিগায় নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছিল তারা। কাতালানদের বিপক্ষে সেদিন লক্ষ্যভেদ করেছিলেন রাউল গঞ্জালেজ, আরিয়েন রবেন, গঞ্জালো হিগুয়াইন ও রুদ ফন নিস্তেলরয়।

বার্সার বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় জিতে রিয়াল জায়গা করে নিয়েছে কোপার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে। আগের লেগে বার্নাব্যুতেই ১-০ গোলে হেরেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ফিরতি লেগে তাই জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না তাদের সামনে। ফাইনাল নিশ্চিত করতে সেই সঙ্গে অন্তত দুই গোলের ব্যবধান রাখার চাহিদা ছিল। বার্সাকে পুরোপুরি নাস্তানাবুদ করে সব সমীকরণ মিলিয়ে ফেলেন বেনজেমা-ভিনিসিয়ুসরা।

কোপা দেল রের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ মে সেভিয়াতে। আসরের ১৯ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল সেখানে মোকাবিলা করবে ওসাসুনাকে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে বার্সাকে হারিয়ে শিরোপা জেতার পর এবারই প্রথম কোপার ফাইনালের টিকিট পেয়েছে রিয়াল।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago