অলিম্পিকে সোনাজয়ী গোলরক্ষক গার্সিয়াকে দলে টানল বার্সেলোনা

ছবি: বার্সেলোনা এক্স

গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা গুঞ্জন অবশেষে সত্যি হলো। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিয়ল থেকে গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়াকে দলে টানল বার্সেলোনা।

বুধবার নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ২৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্সা। তাকে কিনতে প্রাথমিকভাবে দুই কোটি ৫০ লাখ ইউরো খরচ হয়েছে দলটির। মূলত রিলিজ ক্লজের পুরো অর্থই এস্পানিয়লকে পরিশোধ করেছে তারা। তবে বিভিন্ন শর্ত মিলিয়ে খরচের অঙ্কটা আরও বাড়তে পারে।

ছয় মৌসুমের জন্য গার্সিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে লা লিগা ও কোপা দেল রের শিরোপাধারী বার্সেলোনা। ফলে আগামী ২০৩১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ক্লাবটিকে থাকবেন তিনি।

সবশেষ মৌসুমে বার্সার মূল গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন বেশিরভাগ সময় চোটের কারণে ছিলেন মাঠের বাইরে। তার শূন্যস্থান পূরণ করতে জরুরি ভিত্তিতে ভোইচেখ স্ট্যান্সনিকে কিনেছিল তারা।

দুই অভিজ্ঞ গোলরক্ষকই অবশ্য রয়েছেন ক্যারিয়ারের শেষভাগে। জার্মান টের স্টেগেনের বয়স ৩৩ বছর, পোলিশ স্ট্যান্সনির বয়স ৩৫ বছর। ফলে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই গার্সিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে ক্যাম্প ন্যুর দলটি।

বার্সেলোনার দেওয়া বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা আগে এস্পানিয়ল ছাড়ার ঘোষণা দেন গার্সিয়া। সবশেষ ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক পাওয়া স্পেন দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

আবেগঘন বিদায়ী বার্তায় গার্সিয়া লেখেন, 'আজ আমি এই ক্লাবকে বিদায় জানাচ্ছি, যেখানে আমি ১৫ বছর বয়স থেকে ছিলাম। এই পুরোটা সময়ে প্রতিদিন আমি একজন ফুটবল খেলোয়াড় ও একজন ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। সব সময় আমি নম্রতা, প্রচেষ্টা ও গর্বের সঙ্গে রিয়াল এস্পানিয়লের গোলপোস্ট রক্ষা করেছি।'

সবশেষ মৌসুমের লা লিগায় এস্পানিয়লের ৩৮ ম্যাচের সবকটিতে খেলেন গার্সিয়া। আটটি ম্যাচে ক্লিনশিট রাখেন তিনি। গোল হজম করেন ৫১টি।

গার্সিয়া যোগ করেন, 'এই দলকে সাহায্য করতে আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়েছি, এর ব্যাজের প্রতি সর্বোচ্চ নিবেদন দেখিয়েছি এবং এই জার্সির মান রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমি জানি, ক্লাব ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সবার জন্য সহজ হবে না।'

গার্সিয়াকে নিয়ে বার্সেলোনার মূল স্কোয়াডে গোলরক্ষকের সংখ্যা বেড়ে হলো চারজন। টের স্টেগেন ও স্ট্যান্সনি ছাড়াও আছেন স্প্যানিশ ইনাকি পেনিয়া। তবে পেনিয়ার নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমানোর গুঞ্জন রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Exports stuck in EU, US orbit

For years, policymakers and businesses have talked about diversifying the country’s export basket and destinations. Yet little has changed. Despite generous government incentives, shipments rely heavily on a few products and markets.

1h ago