চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের উত্ত্যক্ত করলে ২ হাজার টাকা জরিমানা

পৃথক খাঁচায় বন্দি টগর ও বেলীকে দেখতে উৎসুক দর্শনার্থীদের ভিড়। ১ ডিসেম্বর ২০২১ | স্টার ফাইল ছবি

কোনো দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় গিয়ে প্রাণীদের উত্ত্যক্ত করলে জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। এই ক্ষেত্রে তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা প্রশাসনিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে।

এছাড়া চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীকে জখম করলে বা অনুমতি ছাড়া খাবার দিলে ২ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে।

এমন বিধান রেখে আজ বৃহস্পতিবার সংসদে চিড়িয়খানা বিল, ২০২৩ উত্থাপন করা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বিলটি সংসদে তুললে তা ৩৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট উপাস্থানের জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলটি পাস হলে দেশের সরকারি সব চিড়িয়াখানা এর অধীনে পরিচালিত হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা উপদেষ্টা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ ফি ছাড়া চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করলে তার কাছ থেকে প্রবেশ ফি'র সমপরিমাণ মূল্য আদায় করা হবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে। কোনো দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় কোনো প্রাণীকে উত্ত্যক্ত করলে তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা প্রশাসনিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে।

এই আইন পাস হলে কোনো দর্শনার্থী চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীকে কোনোভাবে আঘাত বা জখম করলে বা কিউরেটরের নির্দেশনা অমান্য করে বা অনুমতি ছাড়া খাবার দিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব অপরাধের বিচার করা যাবে।

বিলে চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীর বয়সজনিত শারীরিক অক্ষমতা বা সংক্রামক রোগ হতে অন্য কোনো প্রাণির জীবন রক্ষার্থে বা জস্বাস্থ্যের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রাণীর অসহনীয় ক্লেশ নিবারণের জন্য ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটানো যাবে।

বিলে বলা হয়েছে, চিড়িয়াখানায় কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই একই প্রজাতির একই লিঙ্গের একটি প্রাণী রাখা যাবে না। ভেটেরিনারি কর্মকর্তার নির্দেশনা ছাড়া প্রকৃতিগত কারণে দলবদ্ধভাবে অবস্থানকারী প্রাণীদের মধ্য থেকে কোনো প্রাণীকে আলাদা বা এককভাবে রাখা যাবে না। প্রাণীর প্রকৃতি বিবেচনা করে ন্যূনতম প্রাকৃতিক পরিবেশ বা সুবিধাসম্পন্ন খাঁচায় আবদ্ধ বা মুক্ত রাখতে হবে।

প্রাণীর প্রকৃতিগত আচরণ, সংশ্লিষ্ট প্রাণীর লালন-পালনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে প্রাণীর খাঁচার অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। কোনো বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণে সরকার এক বা একাধিক চিড়িয়াখানা নির্দিষ্ট করতে পারবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, চিড়িয়াখানায় অবস্থিত প্রাণীর দেহে যেসব রোগ-জীবাণু প্রাণী থেকে প্রাণীতে বা মানুষে সংক্রমণযোগ্য, সেসব রোগ-জীবাণু বা পরজীবীর সীমা বা মাত্রা নির্ণয়ের জন্য প্রযোজ্যতা অনুযায়ী নিয়মিতভাবে প্রত্যেক প্রাণীকে পরীক্ষা করে প্রাপ্ত তথ্য প্রত্যেক প্রাণীর জন্য বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পৃথকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

এতে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো চিড়িয়াখানায় বিদেশি প্রজাতির বন্য প্রাণী কেনা, বিনিময়, উপহার হিসেবে বা অন্য কোনোভাবে সংগ্রহ করা যাবে না। চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীকে লোকালয়ে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

14m ago