উড়তে পারছিল না ভুবন চিলটি, উদ্ধার করে চিকিৎসা করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা

ছবি: সংগৃহীত

অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বাঁশঝাড়ের নিচে, উড়তে পারছিল না ভুবন চিলটি। স্থানীয়রা সেটি উদ্ধার করে সেবা-শুশ্রূষা করেছেন সুস্থ করার জন্য। 
 

মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের সবুজবাগ এলাকার একটি বাঁশঝাড়ের নিচে থেকে চিলটি উদ্ধার করা হয়। 

পরে সেটি শ্রীমঙ্গলের স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেন্জারড ওয়াইল্ডলাইফ (এসইডব্লিউ) সংগঠনের কর্মীরা তাদের অস্থায়ী সেবাকেন্দ্রে নিয়ে যান। বর্তমানে বন বিভাগের পরামর্শ নিয়ে চিলটি সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এসইডব্লিউ'র সদস্য সোহেল শ্যাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, অসুস্থ ভুবন চিলটি বর্তমানে তার বাড়িতে আছে, চিলটি খুবই ছোট, এটি সদ্য ওড়া শিখেছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, চিলটি সুস্থ হওয়ার পর আমরা এটিকে কোথায় অবমুক্ত করব, সে ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেব। 

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভূবনচিল আমাদের দেশে পরিবেশবান্ধব একটি পাখি। মৃত প্রাণীর মাংস খেয়েই তারা জীবন ধারণ করে; যা পরিবেশের জন্য খুবই উপকারী। ভুবনচিলের ইংরেজি নাম ব্লাক কাইট। আর বৈজ্ঞানিক নাম Milvus migrans. 

পাখিবিশারদরা জানান, ভুবনচিল দেখতে লম্বা চেরা লেজওয়ালা কালচে-বাদামি মাঝারি আকারের শিকারি পাখি। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ৬১ সেন্টিমিটার। স্ত্রী ও পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন। তবে স্ত্রীর তুলনায় পুরুষ ভুবনচিল একটু বড় হয়।

এদের দেহ স্পষ্ট গাঢ় লালচে-বাদামি। পিঠ কালচে লাল-বাদামি। ডানার ওপরের অংশের মধ্য-ঢাকনি বরাবর ফিকে বাদামি রঙের ফিতা থাকে। চোখের রং বাদামি। পা ও পায়ের পাতা ফিকে হলুদ। তবে উপপ্রজাতিভেদে ভুবনচিলের চেহারায় বিভিন্নতা দেখা যায়। 

আইইউসিএন এ প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত, যোগ করেন তিনি। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Ritu Porna brace takes Bangladesh to verge of history

Peter Butler's charges beat favourites Myanmar 2-1 in Asian Cup Qualifiers

2h ago