সাংবাদিককে মারধর করে ভবন থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

চট্টগ্রাম
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় গত মঙ্গলবার এক সাংবাদিককে মারধর করে ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের অভিযোগ, পাহাড় কাটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। 

আহত সাংবাদিক আইয়ুব মিয়াজী (৩৪) স্থানীয় দৈনিক সাঙ্গু ও দৈনিক জনবাণী পত্রিকার চন্দনাইশ প্রতিনিধি।

মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় আইয়ুবের বাবা আব্দুস শুক্কুর বাদী হয়ে মো. আলাউদ্দিন (৩৫), মো. ফারুকসহ (২৬) অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে চন্দনাইশ থানায় মামলা করেন।

মামলায় বাবু (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আহত আইয়ুব মিয়াজী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।  

এ ঘটনার একটি ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা পরে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মামলার এজাহারে আব্দুস শুক্কুর অভিযোগ করেন, তার ছেলে ওই এলাকায় পাহাড় কাটার খবর প্রকাশ করেছিলেন এবং স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ডকে পাহাড় কাটার তথ্য দিয়েছিলেন। এতে করে অবৈধ পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে তার ওপর হামলা করে এবং আইয়ুবের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাকে ফেলে দেয়।

এজাহারে আব্দুস শুক্কুর আরও অভিযোগ করেন, ওই সময় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভাঙচুর ও অফিস থেকে টাকা লুট করে নিয়ে যান অভিযুক্তরা।

যোগাযোগ করা হলে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম বলেন, 'আইয়ুব শুক্রবার দোহাজারী এলাকায় পাহাড় কাটার বিষয়ে আমাদের জানান। পরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার প্রমাণ পায়।'

ইউএনও আরও বলেন, 'আমি চন্দনাইশ থানার কর্মকর্তাদের ঘটনাটি তদন্ত করে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছি।'

যোগাযোগ করা হলে চন্দনাইশ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, 'মামলার প্রধান আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Reward for looted police firearms brings no tips

More than 1,300 firearms and over 2,50,000 rounds of ammunition remain missing, with many reportedly now in the hands of criminals

1h ago