যে কাজে আমি সন্তুষ্ট হব সেই কাজটি করব: নোবেল

দেশের অন্যতম সেরা মডেল নোবেল। অভিনেতা হিসেবেও তুমুল জনপ্রিয় তিনি। তবে মডেল হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তিনি।
মডেল নোবেল। ছবি: সংগৃহীত

দেশের অন্যতম সেরা মডেল নোবেল। অভিনেতা হিসেবেও তুমুল জনপ্রিয় তিনি। তবে মডেল হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তিনি।

ঈদের আগে বিভিন্ন বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন নোবেল।

একজন তারকা হিসেবে দর্শকরা আপনাকে মিস করেন, কিন্তু আপনি তাদেরকে মিস করেন কি?

নোবেল: করি তো। দর্শকদের প্রবলভাবে মিস করি। কিন্তু কাজ করতে পারি না। যে কাজে আমি সন্তুষ্ট  হবো, সেই কাজই করবো। সেরকম কাজ আসতে হবে। কাজের অফার যে আসে না তা নয়। প্রচুর অফার পাই। পরিচালকরা তো করেনই, অনেক  অভিনয়শিল্পীরাও অনুরোধ করেন তাদের সঙ্গে কাজ করতে। কিন্ত করা হয় না। একটা জব করি, প্রচুর সময় দিতে হয় সেখানে।

কদিন আগেও এয়ারপোর্ট ক্রস করার সময় কজন দর্শক জিগ্যেস করলেন, কাজ কম করি কেন? দেশে বা বিদেশে যেখানেই যাই এই প্রশ্ন করেন। আমিও তাদের মিস করি। কিন্তু নিজের কাজ নিয়ে যখন নিজে স্যাটেসফায়েড হবো তখনই করবো। কিন্ত তাদেরকে আমি ভালোবাসি, মিসও করি।

আপনি এখনো দেশের পুরুষ মডেলদের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। এ ব্যাপারে কিছু বলুন।

নোবেল: এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তাকে, আমার দর্শকদেরকে। এই রোজার কিছুদিন আগে আমি ও মৌ একটি ফ্যাশন শোতে অংশ নিই। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমরা ফ্যাশন শো করতাম। এত বছর পর দুজনে অল্প সময়ের জন্য স্টেজে উঠি। আরও অনেক মডেল ছিলেন। কিন্তু আমরা দুজন যখন স্টেজে উঠি অন্যরকম একটা সাড়া পড়ে যায়। আমরা নিজেরাও অনেক উত্তেজিত ছিলাম। বাংলা রোমান্টিক গান বাজছিল। ভালো লেগেছে।

কো আর্টিস্ট মৌ'কে নিয়ে কিছু বলুন।

নোবেল: কো আর্টিস্ট হিসেবে মৌ শতভাগ হেল্পফুল, শতভাগ পেশাদার শিল্পী। খুব ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন শিল্পী ও মানুষ। যখনই দুজনে কোনো কাজ করি সবচেয়ে সেরাটা দেওয়ার জন্য তার সাপোর্ট কাজ করে। এটাই বড় শিল্পীর কাজ।

যখন দেশের বাইরে যান প্রবাসী বাংলাদেশিদের কতটা ভালোবাসা পান?

নোবেল: প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভালোবাসার কথা বলে শেষ করতে পারবো না। কিছুদিন আগেও ইউরোপ গিয়েছিলাম, স্টকহোমে গেছি, আরও কয়েকটি দেশে গেছি। কী রকম ভালোবাসা যে পেয়েছি! স্টকহোমের একটি ঘটনা বলি। আমার অফিসের কাজেই গিয়েছিলাম। আমার পরিচিত জাহাঙ্গীর ভাইয়ের ছোট ভাই আমাকে একদিন নিয়ে যান একটি রেস্টুরেন্টে। খাবার শেষে ওই ছোট ভাই বিল দিতে চাইলো। আমি রাজি হলাম না, বিলটা আমিই দেবো। এ নিয়ে কথা হচ্ছে। হঠাৎ কাউন্টার থেকে জানানো হলো বিল নেবে না। আমি তো চমকে উঠি। কেন?

তারপর জানানো হয় সিসি ক্যামেরায় ওই হোটেলের মালিক বাসায় বসেই আমাকে দেখেছেন। তার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। কিন্তু তিনি আমাকে চেনেন। অনেক অনুরোধ করেও সেদিন বিল দিতে পারিনি।

ইতালিতে গিয়েছি একবার। বৃষ্টি হচ্ছিল। গাড়ি থেকে নামতেই একজন প্রবাসি বাংলাদেশি ছাতা নিয়ে দৌঁড়ে আসেন। আরও অসংখ্য ঘটনা আছে। মানুষর ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করে।

ছোটবেলার ঈদ নিয়ে কিছু বলুন।

নোবেল: ছোটবেলায় বেশিরভাগ ঈদ কেটেছে চট্টগ্রামে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের আগের সবগুলো ঈদ চট্টগ্রামে। অনেক বন্ধু আমার ওখানে। সবাই ছেলেবেলার বন্ধু। সবাই মিলে ঠিক করতাম ঈদের দিন কীভাবে কাটাবো? নামাজ পড়ে কোথায় যাবো? দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, রাত কোথায় কীভাবে কাটাবো। ভাগ করে নিতাম বন্ধুরা মিলে। ওটাই জীবন। ওটা আর আসবে না। নতুন পোশাক, আড্ডা এসবই ছিল আসল কাজ।

এবারের ঈদ নিয়ে পরিকল্পনা?

নোবেল: এখনো সেভাবে পরিকল্পনা করিনি। তবে, এবারের ঈদে ঢাকায় থাকবো। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ করবো। আব্বা আম্মা আছেন একসঙ্গে। ছোট ভাই আছে। ইচ্ছে আছে, ঈদের দিন আব্বা ও ছোট ভাইকে নিয়ে একসঙ্গে নামাজ পড়বো। তারপর বাসায় এসে অবসর কাটাবো। দুপুরের পর বের হবো। আড্ডা দেবো। ঈদের সময় একটু অবসর পাওয়া যায়। স্ত্রী আছে। মা ও সে মিলে রান্না করবে। এই তো। এভাবেই কাটবে।

 

Comments

The Daily Star  | English
quota reform movement,

Govt publishes preliminary list of those killed in July-August protests

The interim government today published a preliminary list of the people who died during the student-led mass protests in July and August.

1h ago