আইপিএল

মোস্তাফিজের খরুচে বোলিংয়ের পর নরকিয়ার শেষ ওভারে নাটকীয়তা

Mustafizur Rahman
রোহিত শর্মাকে আউট করলেও মোস্তাফিজের রাতটা ভালো কাটেনি। ছবি: আইপিএল

ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দরকার ছিল ২০ রান। গুরুত্বপূর্ণ ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান দিয়ে দিলেন ১৫ রান। তবে শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান নিয়েও দলকে প্রায় জিতিয়ে ফেলেছিলেন আনরিক নরকিয়ায়। শেষ বলের উত্তেজনায় শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালাসকে।

মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ানের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে দিল্লি। এই নিয়ে আসরের প্রথম চার ম্যাচের সবগুলো হারল তারা। দিল্লির ১৭২ রানের পুঁজি টপকাতে একদম শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয় মুম্বাইকে।

নরকিয়ার শেষ বলে টিম ডেভিড লং অফে ঠেলেই দেন দৌড়। অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের থ্রো ছিল বেশ উঁচুতে। লাফিয়ে ধরেও সময়ের আগে স্টাম্প ভাঙতে পারেননি অভিষেক পোড়েল। মাত্র ৫ রান করতে হয় শেষ ওভারে। নরকিয়া প্রথম পাঁচ বলে দিয়েছিলেন কেবল ৩ রান। শেষে গিয়ে আর মেলেনি হিসাব।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের মানুষের আলাদা নজর ছিল মোস্তাফিজের কারণে।  ভাড়া করা বিমানে খেলতে গিয়ে আইপিএলে প্রথম তিন ম্যাচ একাদশের বাইরে ছিলেন । দলের টানা হারের ধাক্কায় চতুর্থ ম্যাচে ফিরলেও তেমন কিছু করতে পারেননি। রোহিত শর্মার উইকেট পেলেও শুরু আর শেষের দুই ওভারে মার খেয়ে দলের প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি মোস্তাফিজ। চার ওভারের স্পেলে ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন তিনি। 

দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে পান মোস্তাফিজ। প্রথম বল ডট দেয়ার পর ইশান কিশান পরের তিন বলেই মারেন বাউন্ডারি। মোস্তাফিজের ওভার থেকে আসে ১৩ রান।

১৫তম ওভারে আবার আক্রমণে ফেরানো হয় তাকে। রোহিত শর্মা ফিফটি করে তখন খেলা নিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের মুঠোয়। শেষ ৬ ওভারে ৩৬ দরকার মুম্বাইর। ওই ওভারে আগ্রাসী রোহিত আর তিলক বর্মাকে দমিয়ে রাখেন কাটার মাস্টার। মোস্তাফিজের ওভার থেকে স্রেফ ২ রান নিতে পারেন তারা।

পরের ওভারে মুকেশ কুমার মার খেলেও দুই উইকেট নিয়ে খেলায় আনেন উত্তাপ। ১৭তম ওভারে ফিরে মোস্তাফিজ তার তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই খান বাউন্ডারি। পরের তিন বল দেন ডট। পঞ্চম বলে রোহিতকে আউট করে ফেলেন মোস্তাফিজ। তার আড়াআড়ি করে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট লাগিয়ে থার্ড ম্যান দিয়ে চার পেতে চেয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু কিপার অভিষেক দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় ডান দিকে ঝাঁপিয়ে হাতে জমান অসাধারণ ক্যাচ। ওভারের শেষ বলটা ক্যামেরন গ্রিনের হাতে বাউন্ডারি হজম করেন বাংলাদেশের তারকা। ওই ওভার থেকে তিনি দেন ৮ রান।

আনরিক নরকিয়া তার তৃতীয় ওভারে ৭ রান দিলে শেষ ২ ওভারে দরকার দাঁড়ায় ২০ রান। মোস্তাফিজের উপর ভার পড়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ ১৯তম ওভার দিয়ে স্পেল শেষ করার। প্রথম তিন বল ভালো করলেও, চতুর্থ বলে গ্রিনের হাতে ছক্কা হজম করেন মোস্তাফিজ। শেষ বলে তাকে আরেকটি ছয় মারেন টিম ডেভিড। মাঝের দুই ওভার ভালো করলেও শেষ ওভারে ১৫ দিয়ে দেন তিনি।

বাংলাদেশের পেসারের খরুচে ওভারের পর শেষ ওভারে কেবল ৫ রানের সমীকরণে তৈরি হওয়া উত্তেজনায় জয় পায় রোহিত শর্মার দল।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মন্থর শুরু পাওয়া দিল্লি ছুটছিল মাঝারি পুঁজির দিকে। ওয়ার্নার আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও রান পান, কিন্তু ছিলেন আড়ষ্ট। মাঝের দিকে কিছু উইকেট হারিয়েও বিপদে পড়ে তারা। 

দিল্লির ছুটে চলায় গতি আনেন আকসার প্যাটেল। তার ২৫ বলে ৫৪ রানেই মূলত ১৭২ পর্যন্ত যেতে পারে তারা। 

রান তাড়ায় ইশান কিশানকে নিয়ে উড়ন্ত শুরু আনার পর তিললকে নিয়ে বড় জুটিতে সহজ জয়ের পথেই ছিলেন রোহিত। কিন্তু আচমকা তিন উইকেট হারিয়ে তৈরি হয় দোলাচল। যদিও  ইমেক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নামা টিম ডেভিড আর গ্রিন মিলে সামাল দেন ট্রিকি পরিস্থিতি। 

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago