দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টুইটার

অফিস থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠছেন ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স
অফিস থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠছেন ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স

টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রতিষ্ঠানটি দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ মুহুর্তে প্রতিষ্ঠানটি 'ব্রেকইভেনে' (লাভ ও ক্ষতির পরিমাণ সমান) আছে বলে জানান তিনি।

আজ বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে মাস্কের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ব্যাপক হারে ব্যয় সংকোচন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনদাতা ফিরে আসায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার পর অসংখ্য বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে বিরতি নেয়।

বিবিসির কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক জানান, এ মুহূর্তে টুইটারের প্রায় দেড় হাজার কর্মী রয়েছে। তিনি অক্টোবরে দায়িত্ব নেওয়ার আগে টুইটারের প্রায় ৮ হাজার কর্মী ছিল। ইন্টারনেটে প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারটি প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শুনেছেন।

তিনি আরও জানান, তিনি যখন দায়িত্ব নেন, তখন টুইটারের ৩ বিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ ঘাটতি ছিল, যা পূরণে তাকে জরুরি উদ্যোগ নিতে হয়।

মাস্ক বলেন, 'যদি সবকিছু ঠিক মতো চলে, তবে এ প্রান্তিকে আমাদের ইতিবাচক নগদ অর্থ প্রবাহ থাকবে'।

সূত্ররা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রকম সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে টুইটার। ছাঁটাই করা কর্মীদের মাঝে টুইটার সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার কাজে নিয়োজিত অসংখ্য প্রকৌশলী ছিলেন।

ইন্টারনেট নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান নেটব্লকস জানিয়েছে, এ বছরের শুরু থেকে মোট ৬ বার টুইটার সেবা বড় আকারে বিঘ্নিত হয়েছে। সর্বশেষ ঘটনায় হাজারো ব্যবহারকারী টুইটারে লিংক ব্যবহার করতে পারছিলেন না।

মাস্ক স্বীকার করেন, টুইটার সেবায় সম্প্রতি কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে তিনি জানান, কোনোটিই বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

মাস্ক আরও জানান, টুইটারের ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

প্রতিষ্ঠানের দায়ভার নেওয়ার পর কিছু সংস্থা 'রাজনৈতিক' কারণে বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ রেখেছিল জানিয়ে আজ বুধবার মাস্ক নিশ্চিত করেছেন, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই আবারো টুইটারে বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু করেছেন।

একইসঙ্গে টেসলা ও স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে থাকা মাস্ক জানান, টুইটারের প্রধান নির্বাহী পদে তার উত্তরসূরি হিসেবে কারো কথা এ মুহূর্তে ভাবছেন না।

টেসলার বিনিয়োগকারীরা মাস্কের সমালোচনা করেছেন। তাদের দাবি, মাস্ক টুইটারে অত্যধিক সময় দিচ্ছেন, যার ফলে টেসলার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এর আগে মাস্ক জানিয়েছিলেন, এ বছরের শেষে নাগাদ টুইটারের জন্য একজন নতুন প্রধান নির্বাহী খুঁজে বের করা উচিৎ।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

2h ago