এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে খুন

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে 'প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের' জের ধরে মেহেদী হাসান সজীব (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনা ঘটেছে। একই ঘটনায় আরও ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে৷ হতাহতরা সবাই ওই স্কুলেরই শিক্ষার্থী।

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে আতাউর বলেন, 'একটি মেয়েকে প্রেম নিবেদন করাকে কেন্দ্র করে ২ শিক্ষার্থীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলেও ২ পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে৷ এরই জেরে এ খুন৷

'আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম আমরা পেয়েছি৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।'

আতাউর জানান, সজীব মারা গেছে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে। আহত অন্য ৩ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

নিহত সজীব চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার কালিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে রূপগঞ্জ উপজেলার বলাইখা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত।

এ ঘটনায় আহতরা হলো- মেহেদীর বন্ধু মো. রিপ্তী (১৭), শিমুল (১৬) ও অনিক (১৭)। এদের মধ্যে রিপ্তী রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবায়েত হাসান রাকিবের ছোট ভাই। বাকিদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি৷

ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল মোল্লা বলেন, 'শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, স্কুলেরই একটি মেয়েকে পছন্দ করত সজীব ও আরেকজন৷ এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়৷ সেই দ্বন্দ্বের জেরেই স্কুলের সামনে ২ পক্ষ মারামারিতে জড়ায়।'

সজীবের আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল বলেও জানান আব্দুল আউয়াল মোল্লা।

এই ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততাও দেখছেন অধ্যক্ষ। তার ভাষ্য, মারামারিতে জড়ানো শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই স্কুলের বাইরের শিক্ষার্থীরাও আছে।

বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি৷

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago