তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ

বিমানবন্দর সড়কে শুক্রবার রাতে যান চলাচল সীমিত থাকবে

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের সড়কে আগামীকাল শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল সীমিত থাকবে।

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজের জন্য ওই সড়কে যান চলাচল সীমিত রাখা হবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র আজ বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ওই সময়ে সব ভারী ও পণ্যবাহী যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার অনুরোধ করেছে বেবিচক।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, 'ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের জন্য বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবন ও ঢাকা বিমানবন্দরের সামনের সড়কে যান চলাচল সীমিত হয়ে যাবে।'

এ কাজের জন্য সড়কের ৮ লেনের পরিবর্তে ৪ লেন ব্যবহার করা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'ওই সড়কে আগামী ৩ মাস প্রতি শুক্রবার যান চলাচল সীমিত রাখা হবে।'

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তৃতীয় টার্মিনালের প্রায় ৭০ শতাংশ নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। অক্টোবরে এটি প্রাথমিক পর্যায়ে চালু করা হবে।'

তবে, তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হতে আরও ১ বছর সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে।

জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এ নির্মাণকাজের দায়িত্বে আছে। নির্মাণ ব্যয়ের ৭০ শতাংশ ঋণ হিসেবে আসছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে।

খ্যাতনামা স্থপতি রোহানি বাহারিন এর ডিজাইন করেছেন। তিন তলা টার্মিনালে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার ফ্লোর স্পেস থাকবে। 

এতে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি প্রস্থান ও ৬৪টি ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ২৭টি লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ এবং ১৬টি ক্যারোসেল থাকবে।

এ ছাড়াও, ১ হাজার ২৩০টি যানবাহনের জন্য একটি নতুন পার্কিং এবং একটি নতুন ৬৩ হাজার বর্গমিটার আমদানি ও রপ্তানি কার্গো কমপ্লেক্স থাকবে। টার্মিনালে অ্যাপ্রনের ওপর ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করার জন্য জায়গা থাকবে।

বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বছরে ৮০ লাখ যাত্রীকে পরিষেবা দিচ্ছে। প্রায় ১৩০টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার যাত্রী বহন করে থাকে।

তবে, ২০২৫ সালের মধ্যে যাত্রী সংখ্যা বছরে ১৪ মিলিয়ন এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রায় ২৫ মিলিয়নে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেবিচক সূত্র।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago