৩৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন নাপোলি মনে করাল ম্যারাডোনাকে
১৯৮৯-৯০ মৌসুমে দিয়েগো ম্যারাডোনার নৈপুণ্যে ইতালিয়ান সিরি আতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নাপোলি। প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির বদৌলতে পাওয়া সেই অর্জনের পুনরাবৃত্তি এরপর আর করতে পারছিল না ক্লাবটি। অবশেষে তাদের ৩৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হলো। পরম আরাধ্য 'স্কুদেত্তো' জয়ের উল্লাসে মাতোয়ারা হলো নেপলসবাসী।
বৃহস্পতিবার রাতে উদিনেসের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে নাপোলি। এতে ৩৩ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরি আর শিরোপা ঘরে তুলল তারা। লিগের বাকি ম্যাচগুলোতে হারলেও লুসিয়ানো স্পালেত্তির শিষ্যদের টপকে যাওয়ার সুযোগ নেই বাকি ক্লাবগুলোর।
হার এড়াতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত জেনে মাঠে নেমেছিল নাপোলি। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় তাদের। ত্রয়োদশ মিনিটে গোল হজম করে বসে দলটি। কোণাকুণি শটে লক্ষ্যভেদ করে উদিনেসেকে উল্লাসে মাতান সান্দি লোভরিচ। এতে আরও এক দফা নাপোলির শিরোপা জয় বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা জাগে।
আগের ম্যাচেও উৎসবের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল নাপোলির জন্য। ঘরের মাঠ দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে সালেরনিতানার বিপক্ষে জিতলেই তারা হতো চ্যাম্পিয়ন। মাথিয়াস অলিভেইরিরার ৬২তম মিনিটের গোলে সেই লক্ষ্য পূরণের পথে হাঁটছিল তারা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ছয় মিনিট বাকি থাকতে গোল খাওয়ায় বাড়ে তাদের উদযাপনের অপেক্ষা।
স্বাগতিক উদিনেসে লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করায় এই ম্যাচেও তেমন কিছুরই আভাস মিলছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে সমতায় ফিরে গোটা ইতালিকে যেন কাঁপিয়ে দেয় নাপোলি! কাভিচা কাভারাতস্কেলিয়ার শট উদিনেসে গোলরক্ষক মার্কো সিলভেস্ত্রি ফিরিয়ে দেওয়ার পর বল গিয়ে পড়ে ভিক্টর ওসিমেনের পায়ে। জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
নাপোলির লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মূল কারিগরদের একজন ওসিমেন। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ২২ গোল নিয়ে আছেন আসরের গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে। ১৯ গোল নিয়ে তার পরের অবস্থানে আছেন ইন্টার মিলানের লাউতারো মার্তিনেজ।
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই গ্যালারিতে রব ওঠে 'আমরাই ইতালির চ্যাম্পিয়ন'। উদিনেসের মাঠে ইতিহাসের সাক্ষী হতে উপস্থিত হন নাপোলির ১১ হাজার সমর্থক। বাইরেও অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। শেষ বাঁশি বাজার পর ৮০০ কিলোমিটার দূরের শহর নেপলস ভেসে যায় উল্লাসের জোয়ারে।
Comments