‘মানবতা ও বিশ্বাসের সংস্কৃতি নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে পারে’

ইউএন উইমেনের 'লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ' প্রকল্পের লার্নিং শেয়ারিং অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

মানবতা ও বিশ্বাসের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারলে সংখ্যাগতভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনা যাবে। আজ বুধবার ইউএন উইমেনের এক লার্নিং শেয়ারিং অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ইউএন উইমেনের 'লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ' প্রকল্পের সফলতা তুলে ধরা হয়। কানাডা সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর কৌশল নির্ধারণ করা। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বলেন, 'আমাদের সামগ্রিকভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, পদ্ধতি হবে ইন্টারসেকশনাল। এর অর্থ হলো পরিবর্তন আনতে আমাদের সব লিঙ্গ ও বিশ্বাসের মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।'

বিশেষ অতিথি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, 'আমাদের মানবতা ও বিশ্বাসের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আমরা যদি তা করতে পারি, তবেই সংখ্যাগতভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা আমরা কমিয়ে আনতে পারব।'

অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান বলেন, 'পুরুষদের যত বেশি আমরা এ ধরনের প্রোগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত করব, সমতা অর্জন ও নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা হ্রাস করা আমাদের জন্য তত সহজ হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে আমরা সবাইকে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে প্রত্যাশী।'

ইউএন উইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিং বলেন, 'প্রতিরোধ কর্মসূচি কার্যকর ফলাফল দেয়। এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমাদের বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত।'

ইউএন উইমেন ২০১৮ সাল থেকে প্রকল্পটি পরিচালনা করে আসছে। প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর শ্রবনা দত্ত প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করেন। 

তিনি এই প্রকল্পের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২ কে উল্লেখ করেন। এই আইনের ফলে এখন থেকে আদালতে ধর্ষণের মামলায় ভুক্তভোগীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না ও আদালতে এ সংক্রান্ত ডিজিটাল প্রমাণ উপস্থাপন করার সুযোগ থাকবে।

৫ বছরের বেশি সময় ধরে এ প্রকল্পটি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ও বৈষম্যমূলক আচরণের পরিবর্তন ঘটাতে পরিবার, কমিউনিটি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে একযোগে কাজ করেছে। 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago