ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের ফাঁসি, ১ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

আজ সোমবার ঝিনাইদহ এবং ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা পৃথক এই রায় দেন।
court
ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঝিনাইদহে সপ্তম শ্রেণি এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবন্ধ ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাদশা, রুহুল আমিন ও মনু মিয়া।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট সদর উপজেলার খাজুরা গ্রামের ওই স্কুলছাত্রী তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম থেকে উঠে মাকে না পেয়ে বাড়ির পাশে একটি মোড়ে যায় সে। সে সময় একই এলাকার বাদশা তাকে অপহরণ করে পাশের একটি আম বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে বাদশা, রুহুল আমিন ও মনু মিয়া ওই স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তামান্না পার্কের একটি ঘরে আটকে রাখে। রাত ১২ টার ছাড়া পেয়ে মেয়েটি বাড়িতে আসে। এ ঘটনায় পরের দিন মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

ফরিদপুরে ধর্ষণের দায়ে ১ তরুণের ১০ বছরের কারাদণ্ড

ফরিদপুরে ধর্ষণের দায়ে রাকিবুল হাসান মিয়া নামে এ তরুণের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম করাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

আজ সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ২০ আগস্ট ভাঙ্গার পশ্চিম হাসামদিয়া মহল্লায় ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেন রাকিবুল। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর।

এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় রাকিবুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পীযূষ কান্তি হালদার ওই বছরের ২৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) স্বপন কুমার পাল বলেন, রাকিবুল এখন ২০ বছরের তরুণ হলেও অপরাধ সংঘটনের সময় তার বয়স ছিল ১৬ বছর। এজন্য আদালত তাকে শিশু হিসেবে এ অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন। 

Comments