বুন্দেসলিগার নাটকীয় শেষ দিনে ডর্টমুন্ডের ড্র, জিতে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন

ছবি: রয়টার্স

বুন্দেসলিগার ২০২২-২৩ মৌসুমের শেষদিনে একই সময়ে আলাদা আলাদা ম্যাচে নামল বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। গোল করা ও উল্টো হজম করার প্রেক্ষিতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাতে থাকল পয়েন্ট তালিকায় দুই দলের অবস্থান। দুই গোলে পিছিয়ে পড়া ডর্টমুন্ড শেষ পর্যন্ত ড্র করতে পারল। তবে জামাল মুসিয়ালার শেষ মুহূর্তের গোলে প্রয়োজনীয় জয়ই তুলে নিল বায়ার্ন। এতে দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে ফের শিরোপা জেতার উল্লাসে মাতল বাভারিয়ানরা।

শনিবার রাতে নিজেদের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে মেইনজের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে ডর্টমুন্ড। একই সময়ে গড়ানো আরেক ম্যাচে কোলনের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন।

জার্মানির শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় ৩৪ ম্যাচ শেষে বায়ার্নের সংগ্রহ ৭১ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট পেয়েছে ডর্টমুন্ডও। তবে গোল ব্যবধানে তাদের (+৩৯) চেয়ে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টমাস টুখেলের শিষ্যরা (+৫৪)। বুন্দেসলিগায় এটি তাদের টানা একাদশ ও সব মিলিয়ে রেকর্ড ৩২তম শিরোপা। ২০১২-১৩ মৌসুম থেকে একক আধিপত্য দেখিয়ে লিগ শিরোপা নিজেদের দখলে রেখেছে তারা।

ছবি: রয়টার্স

এই রাউন্ডের আগে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল ডর্টমুন্ড। এদিন তারজিনের শিষ্যদের পয়েন্ট ছিল ৭০। ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছিল বায়ার্ন। পিছিয়ে থেকে খেলতে নামায় নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালনের পাশাপাশি অন্য ম্যাচের ফলও পক্ষে আসতে হতো তাদের। ডর্টমুন্ডকে রুখে দিয়ে মেইনজ তাদের সেই উপকারটুকু করেছে।

প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটের মধ্যে মেইনজের আন্দ্রেয়াস হ্যাঞ্চ-ওলসেন ও করিম ওনিসিওর লক্ষ্যভেদ করেন। এতে ভীষণ চাপে পড়ে যায় ডর্টমুন্ড। মাঝে অবশ্য সমতায় ফেরার সুযোগ এসেছিল তাদের সামনে। কিন্তু ১৯তম মিনিটে হতাশ করেন সেবাস্টিয়ান হলার। পেনাল্টি থেকে জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন তিনি। তার দুর্বল শট রুখে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ফিন ডাহমেন। ম্যাচের বাকি সময়টাতেও তিনি ছিলেন বাধার দেয়াল হয়ে। সব মিলিয়ে আটটি সেভ করেন তিনি।

বিরতির ঠিক আগে আগে দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয় ডর্টমুন্ডের। ডোনিয়েল মালেনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় স্বাগতিকরা। কিন্তু তাদের একের পর এক প্রচেষ্টা মেইনজের রক্ষণে গিয়ে মিলিয়ে যেতে থাকে। অবশেষ ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে সাফল্য পায় ডর্টমুন্ড। রাফায়েল গেরেরোর গোলে ব্যবধান কমায় তারা। এরপর যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন নিকলাস সুলে।

প্রয়োজনীয় তৃতীয় গোলের দেখা অবশ্য পাওয়া হয়নি ইয়োলো সাবমেরিনদের। অথচ ৭৩ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা ক্লাবটি প্রতিপক্ষের গোলমুখে মোট ২৯টি শট নেয়। এর মধ্যে লক্ষ্যেই ছিল দশটি।

ছবি: রয়টার্স

কোলনের বিপক্ষে ম্যাচের অষ্টম মিনিটে কিংসলে কোমান এগিয়ে দেন বায়ার্নকে। সেই লিড ধরে রেখে বিরতিতে যায় সফরকারীরা। ফের খেলা শুরু হলে দুই পক্ষই সুযোগ তৈরি করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ৮১তম মিনিটে দেয়াল লুবিচিচের স্পট-কিকে সমতা ফেরে লড়াইয়ে। এতে শিরোপা খোয়ানোর জোর শঙ্কায় পড়ে বায়ার্ন।

বুন্দেসলিগার ইতিহাসের সফলতম ক্লাবটি হাল ছেড়ে দেয়নি। নির্ধারিত সময়ের মাত্র এক মিনিট বাকি থাকতে স্কোরলাইন ২-১ গোল করেন মুসিয়ালা। মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটি করার মাত্র চার মিনিট আগে মাঠে নামেন তিনি। বাকি সময় সেই লিড ধরে রেখে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেনা স্বাদ আবারও নেয় বায়ার্ন।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda urges unity, quick action to institutionalise democracy

She also demanded a comprehensive list of victims of abduction, murder, and extrajudicial killings

1h ago