লালমনিরহাট-রংপুর রুট

কাকিনা-মহিপুর সড়কে চলবে না ভারী যানবাহন

লালমনিরহাট-রংপুর; কাকিনা-মহিপুর রুটে তিস্তা নদীর উপর শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

লালমনিরহাটের কাকিনা-মহিপুর সড়ক ও শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। লালমনিরহাট থেকে রংপুরে যেতে ভারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহির ইমাম জানিয়েছেন, রোববার দিবাগত রাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ৫ টনের কম মালামাল পরিবহনে সক্ষম যান চলাচলে কোনো বাধা নেই।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক এই রুটে চলাচল করছিল। বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পাথরবোঝাই ট্রাক দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করছিল। সেই কারণে কাকিনা-মহিপুর সড়কের বেহাল দশা হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু।

ট্রাকচালক আসাদ মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরে ১ হাজার ৯০০ ট্রাক তালিকাভুক্ত রয়েছে। প্রায় সবগুলো ট্রাকই শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছিল। এই রুটে যাতায়াত করায় ৫৫ কিলোমিটার পথ কমে আসে। এতে ১৩ থেকে ১৫ লিটার তেল সাশ্রয় হয়। আবার সেতুতে টোল দিতে হয় না।

১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর উপর ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুটি ২০১৮ সালের এপ্রিলে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

প্রথম ৬ মাস সেতুটির ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় সেতুটি ও সংযোগ সড়ক মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে। ভারী যান চলাচল বন্ধ করতে ২০১৮ সালের অক্টোবরে সেতুটির সংযোগ সড়কে ৩টি ব্যারিকেড তৈরি করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ফলে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গত ফেব্রুয়ারিতে সংযোগ সড়কের ওপর থেকে ব্যারিকেডগুলো তুলে ফেলায় আবারও ভারী যান চলাচল শুরু হয়।

জহির ইমাম জানান, সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক মজবুত করা হবে। সে পযর্ন্ত ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh inflation rate drops in April

Few steps to cut inflation-induced poverty

High inflation has become the bane of low-income people’s existence for the better part of the past two years as spiralling prices have dramatically eaten away at their purchasing power.

16h ago