আরব আমিরাতে কারখানায় আগুনে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু

তারেক হোসেন, মো. রাসেল ও মো. ইউসুফ (বাম থেকে) | ছবি: সংগৃহীত

মধ্য প্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে একটি আসবাবপত্রের কারখানায় আগুনে  পুড়ে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

তাদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অগ্নিকাণ্ডে মো. ইউছুফ নামে এক আসবাবপত্র ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। ইউসুফের বড় ভাই মো. রসুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইউছুফ গত ২৫ বছর ধরে আবুধাবিতে বসবাস করছিলেন। ৫ বছর আগে সর্বশেষ বাড়িতে এসেছিলেন। ২ বছর আগে তিনি স্বজন-বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সারজায় আসবাবপত্র তৈরি ও বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছিলেন।'

অগ্নিকাণ্ডে আরও মারা গেছেন দোকান কর্মচারী মো. রাসেল (৩২)। তার বাড়ি উপজেলার মতৈন গ্রামে। রাসেল আব্দুল ওয়াহাব ও শরীফা বেগম দম্পতির ছেলে। ওই কারখানায় বেড়াতে এসেছিলেন পলতি গ্রামের মীর আহাম্মদ  ও পেয়ারা বেগম দম্পতির ছেলে মো. তারেক হোসেন। অগ্নিকাণ্ডে তারও মৃত্যু হয়, জানান রসুল।

আবুধাবিতে বসবাস করেন ইউছুফের স্বজন আবুল বাশার ও আনোয়ার হোসেন। তারা মোবাইল ফোনে মৃত্যুর সংবাদ দেন।

রসুল আরও বলেন, 'প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে তারা ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আবুধাবীর স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ৩ জন পুড়ে মারা যায়।'

ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, 'মৃত প্রবাসীদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago