উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

অল্প সংখ্যক ক্লাবেরই সিটিকে হারানোর ক্ষমতা দেখেন গুন্দোয়ান

ছবি: এএফপি

অধিনায়ক হিসেবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার দ্বারপ্রান্তে আছেন ইল্কাই গুন্দোয়ান। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ফাইনালের আগে পুরো স্কোয়াড ও তারকা কোচ পেপ গার্দিওলাকে নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা ঝরল তার কণ্ঠে। ম্যানচেস্টার সিটির জার্মান মিডফিল্ডারের দৃষ্টিতে, অল্প সংখ্যক ক্লাবেরই তাদেরকে হারানোর ক্ষমতা আছে।

আগামী ১১ জুন ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ম্যান সিটি ও ইন্টার। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কের ইস্তানবুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে।

ইতিহাস গড়া থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে আছে ইংলিশ পরাশক্তি সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেই 'ট্রেবল' পূরণ হবে তাদের। ইতোমধ্যে তারা উঁচিয়ে ধরেছে প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের শিরোপা। এখন পর্যন্ত একমাত্র ইংলিশ ক্লাব হিসেবে 'ট্রেবল' জেতার কীর্তি আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে সিটির শহর প্রতিদ্বন্দ্বীরা স্থাপন করেছিল সেই অনন্য নজির।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সিটিজেনদের ফেভারিট ভাবা হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম, তারকাখচিত স্কোয়াড ও কোচ গার্দিওলা। উয়েফাকে সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে গুন্দোয়ান বলেছেন, 'আমাদের দলের মধ্যে অবিশ্বাস্য দক্ষতা রয়েছে। আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। আমাদের একজন বিস্ময়কর মানের কোচও আছেন যিনি কৌশল (পরিবর্তন) করে বারবার আমাদের চ্যালেঞ্জ জানান, আমাদেরকে নতুন একটি স্তরে নিয়ে যান এবং আমাদের সমস্যার সমাধানও করে দেন।'

'ধরা যাক, যদি একটি নির্দিষ্ট খেলায় (কোনো কৌশল) ভালোভাবে কাজ না করে, তবে সব সময় (আমাদের কাছে) বিকল্প রয়েছে, যেগুলোতে আমরা ফিরে যেতে পারি। (আমাদের দলের মধ্যে বিভিন্ন) জিনিসের এই মিশ্রণটি অত্যন্ত ভালো। যদি আমরা মানসিকভাবে দৃঢ় থাকি এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর মতো একই মনোভাব আমাদের থাকে, তবে আমি এমন বেশি সংখ্যক দল দেখি না যারা আমাদের হারাতে পারে,' গুন্দোয়ানের এই ভাবনা সতর্কবার্তা হতে পারে প্রতিপক্ষের জন্য।

ব্যক্তিগত একটি কারণেও ইন্টারের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন গুন্দোয়ান। সেই প্রসঙ্গে ৩২ বছর বয়সী তারকা বলেছেন, '(তুরস্ক) আমার বাবা-মায়ের জন্মভূমি (হওয়ায়) এই ফাইনালে খেলতে পারাটা স্বাভাবিকভাবেই আমাকে অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত করছে। আমার পরিবার এটার জন্য মুখিয়ে আছে, আমার বন্ধুরা মুখিয়ে আছে এবং অবশ্যই, আমি নিজেও মুখিয়ে আছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago