ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন জেলা জজ, বিল উত্থাপন

সংসদ
জাতীয় সংসদ ভবন। স্টার ফাইল ফটো

ভূমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন জেলা জজরা। এ ছাড়া প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজদেরও ট্রাইব্যুনাল মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিচারক নিয়োগ করতে পারবে।

এসব বিধান যুক্ত করে ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট (রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন) সংশোধন করা হচ্ছে। 

আজ বুধবার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত সংশোধনী বিল উত্থাপন করেন। 

পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

নতুন এই সংশোধনী পাস হলে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতা কাটবে।

বিদ্যমান আইনে আছে, ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন যুগ্ম-জেলা জজ। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার বিচারক নিয়োগ দেবে। 

এই বিধানের সঙ্গে নতুন ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, এভাবে বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার যুগ্ম-জেলা জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজের ক্ষমতা দিতে পারবে। 

এছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনাল থেকে স্থানান্তর করা মামলা নিষ্পত্তির জন্য এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে সরকার নিয়োগ দিতে পারবে।

বিদ্যমান আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি।

আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, '২০০৪ সালে আইন সংশোধন করে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান করা হয়। ওই বিধানে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে জেলার যুগ্ম-জেলা জজদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারকদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগের বিধান করা হয়।'

'পরবর্তীতে মামলার সংখ্যার তুলনায় ট্রাইব্যুনাল কম হওয়ায় মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগে সমস্যার কারণে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়ায় জনগণের বিচারপ্রাপ্তি বিঘ্নিত হয়,' বলেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, 'মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দূর করা এবং যথাসময়ে জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নিয়ে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

8h ago