বিটিএসের ১০ বছর

বিটিএস, কে-পপ, দক্ষিণ কোরিয়া,
কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস। ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ১৩ জুন। সাত কোরিয়ান তরুণের স্বপ্নের পথচলা শুরু। আর তাদের প্লাটফর্ম বিটিএস। কোরিয়ান পপ জগত মানে কে-পপের পালে আত্মপ্রকাশ হলো আরেকটি ব্যান্ড। কিন্তু, কে জানত- সেদিনের সেই সাত তরুণের বিটিএস পরবর্তীতে বিশ্ব কাঁপাবে! সারাবিশ্বে কোরিয়ান পপের ঝড় তুলবে।

বলা হয়, বিশ্বে বর্তমানে যতগুলো ব্যান্ড আছে তার মধ্যে বিটিএসের ভক্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর বিটিএস ভক্তদের আর্মি বলা হয়। যাইহোক, বিশ্বব্যাপী বিটিএসের এই যে ঝড় আর সেই যাত্রা কিন্তু মোটেও সহজ ছিল না। এর পেছনে আছে বিটিএস সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা, সাধনা ও নিখুঁত পারফরমেন্স।

পাঁচবারের গ্র্যামি মনোনীত কে-পপ সুপার ব্যান্ডটি ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার মিউজিক লেবেল বিগ হিট এন্টারটেইনমেন্টের অধীনে বাংতান সোনিওন্ডন বা বুলেটপ্রুফ বয় স্কাউটস নামে গঠিত হয়েছিল। তারপর তিন বছরের কে-পপের কঠোর প্রশিক্ষণ নেন তারা। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষে জিন, সুগা, জে-হোপ, আরএম, জিমিন, ভি এবং জাংকুকরা ইপি, টু কুল ফোর স্কুল দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। সেখানে তাদের প্রথম একক 'নো মোর ড্রিম' ছিল।

তারপর নিয়মিতভাবে তাদের অ্যালবাম বের হয়েছে। আর তাদের 'ডিএনএ', 'আইডল', 'বাটার' ও 'লাইফ গোজ অন' বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ভক্তের হৃদয় মাতিয়েছে।

তারা গানের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতামূলক বার্তা দিয়েছেন। যেমন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন, মানসিক স্বাস্থ্য, তারুণ্যের শক্তি ইত্যাদি। তাদের গানগুলো বিলবোর্ড চার্টে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছে।

বিটিএস বিশ্বব্যাপী এতটাই জনপ্রিয় ও প্রশংসিত যে, ২০১৭ সালে ইউনিসেফের সঙ্গে 'লাভ মাইসেলফ' নামের একটি বৈশ্বিক প্রচারাভিযানের জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ২০২১ সালে বিটিএস তৃতীয়বারের মতো জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিল।

শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎ করেছিলেন ব্যান্ডটির সদস্যরা। তারা সেখানে এশিয়াবিরোধী বিদ্বেষমূলক অপরাধ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন বলে লাইফস্টাইলে এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ বছর বিটিএস আত্মপ্রকাশের ১০ বছরে পা দিয়েছে। গত ৮ জুন ব্যান্ডটি আপোবাংপো-১০ এর জন্য বেশ কয়েকটি ছবি ও পর্দার পিছনের ভিডিও উন্মোচন করেছেন। আপোবাংপো হলো চলতি বছরের বিটিএস ফেস্তা।

যদিও আপোবাংপোর উদ্দেশ্য হলো- 'আর্মি ফরেভার, বিটিএস ফরেভার'। বিটিএস ফেস্তা একটি মাসব্যাপী অনলাইন ইভেন্ট। যা কে-পপ ব্যান্ডটি তাদের ভক্তদের সঙ্গে প্রতি বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনে আয়োজন করে। সিউল-ভিত্তিক ব্যান্ডটি গত ৯ জুন 'টেক টু' শিরোনামে একটি ডিজিটাল একক প্রকাশ করেছে।

আগামী ৯ জুলাই 'বিয়ন্ড দ্য স্টোরি: টেন ইয়ার রেকর্ড অব বিটিএস' শিরোনামে ৫৪৪ পৃষ্ঠার একটি স্মৃতিকথা প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago