২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন না মেসি

ছবি: এএফপি

লিওনেল মেসি আগেই বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন যে কাতারের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপই তার ক্যারিয়ারের শেষ। তবে আর্জেন্টিনার কোচ-খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকরা বুক বাঁধছিলেন আশায়। কিন্তু তাদেরকে দুঃসংবাদ দিলেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী ফরোয়ার্ড। তিনি স্পষ্ট করে বললেন, বিশ্বকাপের মঞ্চে আর দেখা যাবে না তাকে।

আগামী ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। আসর চলাকালে মেসির বয়স দাঁড়াবে ৩৯ বছর। এই বয়সে ফুটবলারদের বিশ্বকাপ খেলার নজির খুব বেশি নেই। তাছাড়া, তিন বছর পর তার ফর্ম কেমন থাকবে সেটাও বিবেচনার বিষয়।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে মঙ্গলবার চীনা গণমাধ্যম টাইটান স্পোর্টসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেসি। সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকা এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, 'আমি আগেও যেটা বলেছি, আগামী বিশ্বকাপে অংশ নিব বলে মনে হয় না। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমার মন এখনও বদল করিনি। বিশ্বকাপটা দেখার জন্য সেখানে থাকলে আমার ভালো লাগবে। কিন্তু আমি অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি না।'

গত বছরের ডিসেম্বরে কাতারের মাটিতে তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। এতে তর্কসাপেক্ষে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার মেসির অধরা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়। সাতটি গোল করে তিনি ছিলেন আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জিতে রেকর্ড গড়েন লা পুল্গা।

আগামী বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে পরস্পরকে মোকাবিলা করবে আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়। গত বছরের ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই দলের। ওই ম্যাচে মেসি ও হুলিয়ান আলভারেজের লক্ষ্যভেদে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জিতেছিল। সকারুরা ব্যবধান কমিয়েছিল এঞ্জো ফার্নান্দেজের আত্মঘাতী গোলে।

কিছুদিন আগে মেসির পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা আসে। পুরনো ক্লাব বার্সা ও সৌদি ক্লাব আল হিলালে তার যোগ দেওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিজের অধ্যায়ের ইতি টেনে আকর্ষণীয় প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাচ্ছেন তিনি। তার নতুন ঠিকানা হতে যাচ্ছে মেজর সকার লিগের (এমএলএস) দল ইন্টার মায়ামি।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago