বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর

চট্টগ্রামে ২ মামলায় আসামি যুবদল-ছাত্রদলের ১৩৮ নেতাকর্মী, অজ্ঞাতনামা ৪৫০

ভাঙচুর করা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র–ইতিহাসসংবলিত ছবির একাংশ। ছবি: প্রথম আলোর সৌজন্যে

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ও ছাত্রদলের ২৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার রাত থেকে নগরীর বাকলিয়া, চান্দগাও, চকবাজার ও জামালখান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গতকাল রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের এক কর্মী বাদী হয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের ১৩৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০০-৪৫০ জনকে আসামি করে ২টি থানায় মামলা করে।

মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরানুস সাজ্জাদ বাদী হয়ে ৭৮ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী শাফায়েত হোসেন রাজু বাদী হয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের ৬০ নেতাকর্মীর নামে ও অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় আরেকটি মামলা করেন।

তবে এই ২ মামলার এজাহারে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কোনো সিনিয়র নেতার নাম উল্লেখ করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গতকাল বিকালে বন্দরনগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় যুবদল আয়োজিত সমাবেশ চলাকালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের সামনে সংঘর্ষের পর নগরীর জামাল খান এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়।

জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও চট্টগ্রাম যুবদল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে তরুণদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে 'দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ' শীর্ষক এই সমাবেশের আয়োজন করে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন) আসম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, 'শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি ভাঙচুরের ঘটনায় নগরীর চকবাজার, চান্দগাঁও ও বাকালিয়া এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের ২৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ডিবি পুলিশ চান্দগাঁও থেকে যুবদল নেতা মো. নওশাদ আল জাশেদুর রহমানকে আটক করেছে এবং তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে একটি দোনলা বন্দুক জব্দ করা হয়েছে।'

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, 'আমরা মামলাগুলো তদন্ত করছি এবং তদন্তকালে যার বা যাদেরই নাম বের করা হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

পুলিশ জানায়, যুবদল কর্মী জাশেদুর বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৬টি মামলার আসামি।

ছাত্রলীগের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, 'চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ছাত্রলীগের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একজন পাবলিক মামলা করেছেন। আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় জানি না এবং সেটা জানার প্রয়োজনও নেই।'

তিনি বলেন, 'আমরা মামলাটি তদন্ত করছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Government notification banning Awami League

Govt bans activities of AL until ICT trial completion

A gazette notification was issued in this regard by Public Security Division of the home ministry

3h ago