টাঙ্গাইল

স্কুলশিক্ষার্থী শিহাব হত্যার ১ বছরেও অগ্রগতি নেই তদন্তে

শিহাবের মৃত্যুর ঘটনার পর টাঙ্গাইলের সখীপুরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বাবা ইলিয়াস হোসেন। স্টার ফাইল ফটো

টাঙ্গাইলে স্কুলশিক্ষার্থী শিহাব হত্যার এক বছর পার হয়ে গেলেও, মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি তদন্তকারীরা। 

তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে শিহাবের পরিবার।

গত বছরের ২০ জুন টাঙ্গাইল শহরের সৃষ্টি একাডেমি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর আবাসিক শিক্ষার্থী শিহাব মিয়াকে স্কুল ভবনের সপ্তম তলার একটি বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়।

পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সৃষ্টি স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও, শিহাবের পরিবার হত্যার অভিযোগ তোলে।

এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ শহরবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।     

শিহাবের মা ওই প্রতিষ্ঠানের ৬ আবাসিক শিক্ষকের নামে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করার পর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। 

পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তভার পুলিশের কাছ থেকে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। 

তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সিআইডির উপপরিদর্শক আরিফ ফয়সাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলাটির তদন্ত এখনো চলছে। এর মধ্যে ৬ আসামিই প্রথমে উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন এবং পরে নিম্ন আদালত থেকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।'

বিভিন্ন সময়ে তাদের সবাইকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা এখনো ফাইনাল রিপোর্ট দেইনি।'

শিহাবের সিঙ্গাপুরপ্রবাসী পিতা জেলার সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ী গ্রামের ইলিয়াস হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছেলেকে ভালো স্কুলে পড়াতে প্রবাসে কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে তাকে শহরের সৃষ্টি একাডেমি স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলাম। সেখানে ছেলের মৃত্যুর দায় প্রতিষ্ঠানের।'

'স্কুলের মালিকপক্ষ বিত্তবান ও প্রভাবশালী তাই পুলিশও আমার সঙ্গে খেলা খেলছে,' বলেন তিনি।

শিহাবের বাবা আরও বলেন, 'ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে যেখানে বলা হয়েছে যে ঘাড় ভেঙে ও শ্বাসরোধ করে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে সিআইডি এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন দিতে পারল না। আমি কি তবে ন্যায়বিচার পাব?'

 

Comments

The Daily Star  | English

‘There’s no fish there’

Fishermen in Bhola borrow to celebrate Eid amid Hilsa crisis

1h ago