‘আমার কাছে মুমিনুল ভাই সেরা অধিনায়ক’

Ebadot Hossain
ইবাদত হোসেন। ফাইল ছবি: স্টার

এক সময় জুতসই পেসারের জন্য অনেক আকুতি ছিল বাংলাদেশের। এখন এক ঝাঁক পেসার তিন সংস্করণেই দলের জয়ে রাখছেন অবদান। বিশেষ করে টেস্টে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ এখন বেশ সমীহ করার মতন। সম্প্রতি আফগানিস্তানকেও তাই পেস দিয়ে উড়িয়ে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেওয়াদের একজন ইবাদত হোসেন। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি জানালেন প্রাক্তন পেস বোলিং কোচ ওটিস ও মুমিনুল হক অধিনায়কত্বে থাকার সময় এই ইতিবাচক বদলের সূত্রপাত।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বোলিং নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট?

ইবাদত হোসেন: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা মাঠে গিয়েছিলাম জেতার জন্য। শুরু থেকেই আমাদের ক্ষুধা ছিল। আফগানিস্তানের কাছে আগে আমরা বাজেভাবে হেরেছিলাম, আমি সেই ম্যাচে বেঞ্চে ছিলাম, খারাপ লেগেছিল। আমার মানসিকতা ছিল, যদি খেলি প্রতিপক্ষকে ভালোভাবে হারাতে সেরা অবদান রাখব। আমাদের সব সতীর্থেরই একই মানসিকতা ছিল। এজন্যই এত বড় ব্যবধানে তাদের আমরা হারিয়েছি।

ব্যক্তিগতভাবে আমার টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো ছিল না। কাজেই বিশ্বমানের বোলার হওয়ার তাড়না থেকে আমার মনে হয়েছে কঠোর পরিশ্রম দরকার। আমি স্কিল রপ্ত করে দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় অনেক দূর যাওয়া বাকি।

সব সংস্করণে খেলছেন এখন। কীভাবে সামলাচ্ছেন সব দিক?

ইবাদত: আমার মনে হয় ফিটনেস বড় ভূমিকা রাখে সব সংস্করণে খেলার ক্ষেত্রে। আমি দুই বছর ধরে আমাদের ট্রেনারের সঙ্গে কথা বলছি। তামিম ভাই আমাকে ওয়ানডে দলে নেওয়ার পর আমি সব সংস্করণের বোলার হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সব শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি, ৪ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছি। জেমি সিডন্সের সঙ্গে আমি আমার ব্যাটিং নিয়েও কাজ করেছি, এখন নিক পোথাসের সঙ্গে করছি। একই সঙ্গে সীমিত সংস্করণে ভালো ফিল্ডার হওয়ারও তাগিদ অনুভব করছি।

পেসারদের মধ্যে মাঠের বাইরের হৃদ্যতা কতটা প্রভাব রাখে খেলায়।

ইবাদত: আমি দুজন মানুষকে কৃতিত্ব দেব। সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক ভাই ও আরেকজন ওটিস গিবসন। মুমিনুল ভাই যেভাবে আমাদের সমর্থন দিয়েছেন তা অবিশ্বাস্য। আমার কাছে তিনি সেরা অধিনায়ক। পেসারদেরকে নিয়ে ডিনারে গিয়ে তিনি সবার মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করেছেন। একই কাজ করেছেন গিবসনও। তারা আমাদেরকে উপলব্ধি করতে শিখিয়েছেন একজন আরেকজনের ভালো চাইতে হবে। আমরা একে অন্যের সাফল্যে হাসি, ব্যর্থতায় একাত্ম হই। তরুণ যারা আছে তাদের আগলে রাখি যেমন হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম বা অন্যরা। তাসকিন বাউন্ডারি খেলে আমি ব্যথা টের পাই। যদি দেখেন ও পাঁচ উইকেট পাওয়ার পর আমিই প্রথম ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরি। আমার মনে হয় আমি উইকেট পেয়েছি। তারাও একইভাবে ভাবে। এইরকম বন্ধন আমাদের মধ্যে আছে।

পেসারদের তোলে ধরার ইতিবাচক মানসিকতা আগামী প্রজন্মের তরুণদের পেসার হতে প্রেরণা দিবে?

ইবাদত: টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের উপর আস্থা রাখার পরই তাসকিন ও অন্যরা দুর্দান্ত করছে। মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টে জয়, যেখানে ভাগ্যক্রমে আমি ভালো করছি, আফগানিস্তানের সঙ্গে জয় যেখানে পেসাররা ১৪ উইকেট নিয়েছে। আমার মনে হয় পুরো বোলিং আক্রমণ, স্পিনাররা অবদান রাখার চেষ্টা করছে তীব্রভাবে। আমরা চাইব এই জায়গা থেকে আগামী প্রজন্ম আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

কোন পেসারকে অনুসরণ করেন?

ইবাদত: আমি যদি অন্য কারো মতন হতে চাই তাহলে সমস্যা। আমি আমার স্কিল আয়ত্ত করতে চাই ধীরে ধীরে। আমি যত বেশি ম্যাচে জয়ে অবদান রাখব, তত আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আমি ওয়ানডে যখন খেলি শক্তির জায়গায় থাকি। টি-টোয়েন্টিতে বৈচিত্র্যের খোঁজ করি।

Comments

The Daily Star  | English

BB keeps policy rate unchanged 

BB said the 10 percent policy rate would remain in place for the July-December period

54m ago