ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ট্রেইনি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

ছবি: সংগৃহীত

মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকরা আজ থেকে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

এসময় ভাতা নিয়মিত দেওয়ারও দাবি জানান তারা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেইনি চিকিৎসকেরা কাজ বন্ধ রাখায় রোগীদের স্বাভাবিক সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

বিক্ষোভের অংশ হিসেবে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (পিজিপিটিডিএ) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে।

আয়োজকরা জানান, বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় সাড়ে ৮ হাজার চিকিৎসক আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

'আমরা গত ছয় মাস ধরে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এবং পেশাদার সংগঠনের সাথে আলোচনা করছি। কিন্তু আমরা কোনো সন্তোষজনক সাড়া পাইনি। সরকার আমাদের ভাতা বাড়ানোর গেজেট জারি না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাব,' বলেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন।

স্নাতকোত্তর ইন্টার্ন চিকিত্সকদের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য ২-৫ বছরের জন্য একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়।

উপস্থিত চিকিত্সকদের তত্ত্বাবধানে সরাসরি রোগীর সেবা দেওয়া, বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করা এবং তাদের ক্লিনিকাল দক্ষতা অর্জন করতে হয়।

তাদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার অনুমতি দেওয়া হয় না এবং তাদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হয়।

ঢামেক হাসপতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাজমুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছে। তাই আমরা স্বাভাবিক রোগীর সেবা বজায় রাখতে সমস্যায় পড়েছি, বিশেষ করে যখন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে।'

তিনি বলেন, তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের জানিয়েছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

এদিকে বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা জানান, নিম্নমানের ভাতা নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।

সম্প্রতি, তারা বকেয়া পরিশোধের দাবিতে গত মাস থেকে তাদের বিক্ষোভ শুরু করে।

এর জবাবে সরকারও ঈদুল আজহার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে বকেয়া পরিশোধের জন্য একটি তহবিল প্রকাশ করেছে।

বর্তমানে, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের পক্ষ থেকে ভাতার তত্ত্বাবধান করে।

এর আগে, বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ জানান, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা যেসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন, সেসব প্রতিষ্ঠানে তহবিল বরাদ্দের জন্য তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
job market situation in Bangladesh

No good news in job creation

Job prospects unfulfilled as economic woes, lack of investment hinder growth

21h ago