মহাসমাবেশ হতে পারে বিএনপির জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’

বিএনপির অবরোধ

সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের ১ দফা দাবিতে আগামীকাল রাজধানীতে বিএনপি আয়োজিত মহাসমাবেশ দলটির জন্য টার্নিং পয়েন্ট হবে বলে জানা গেছে দলীয় সূত্রে।

সমাবেশে ব্যাপক সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দলটি। 

সরকার আগামীকাল সড়ক, রেল ও নৌপথে রাজধানীতে যেতে বাধা দিতে পারে; এই আশঙ্কায় সারাদেশের নেতাকর্মীদের আজ বুধবারের মধ্যে ঢাকায় প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছে।

বিএনপি নেতারা জানান, মহাসমাবেশ সফল হলে দলের আন্দোলনের গতিপথ পাল্টে যেতে পারে। আর সে কারণে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

রাজধানীর নয়াপল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন করার জন্য গত সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবশ্য ঘোষণা দিয়েছে, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে আগামীকাল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এ ঘটনাকে বিএনপির কর্মসূচিকে প্রতিহত করার আপাত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তাদের সমমনা ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট আগামীকাল রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশস্থলের কাছে ১০টি স্থানে পৃথক বিক্ষোভের আয়োজন করবে।

সম্প্রতি বিএনপির ১ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানানো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও আগামীকাল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকারবিরোধী আন্দোলনে আয়োজিত আমাদের এই মহাসমাবেশ একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে। আন্দোলনের গতিপথ পরিবর্তন করা হবে। এই মহাসমাবেশের মাধ্যমে আমরা আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।'

তিনি বলেন, 'ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ঢাকার এই সমাবেশ 'জনগণের সমাবেশে' পরিণত হবে।

খসরু আরও বলেন, 'সমাবেশে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।'

বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার মতে, আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে দলের মধ্যে নতুন করে আলোচনা চলছে।

বিএনপি চায় দলের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে অবস্থান করুক, যাতে তারা ধারাবাহিকভাবে লাগাতার বিক্ষোভ করতে পারেন।

তবে বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন দলের নেতাদের একাংশ হরতাল-অবরোধ চান না। রাজধানীর অন্তত ৬ থেকে ৭ জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি ও লাগাতার সমাবেশ বা অবরোধের মতো কর্মসূচির কথা ভাবছেন নেতারা।

বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কয়েক বছর ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় দলটি শহরের রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি, যা তাদের ব্যর্থতার একটি বড় কারণ। সে কারণে এবার ঢাকাকেন্দ্রিক কর্মসূচির কথা ভাবছে বিএনপি।

এ ছাড়া বিএনপি মনে করছে, দলীয় নেতাকর্মীরা কয়েকদিন রাজধানীতে অবস্থান করে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করতে পারলে সরকার ও আওয়ামী লীগ আন্দোলনের উত্তাপ টের পাবে। এ ছাড়া বিএনপির আন্দোলনের প্রতি জনগণের আস্থাও বাড়বে।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

5h ago