মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামিলিওনেল মেসি যোগ দেওয়ার আগে শেষ ছয় ম্যাচে ছিল না কোনো জয়। তবে মেসিকে পেয়ে রাতারাতি যেন বদলে গিয়েছে ইন্টার মায়ামি। আরও একটি জয়ে জোড়া গোল করলেন রেকর্ড সাত বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ তারকা। তাতে লিগ কাপের শেষ ষোলোতে উঠেছে দলটি।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে ফ্লোরিডায় শেষ বত্রিশের লড়াইয়ে ওরল্যান্ডো সিটিকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে মায়ামি। মেসির জোড়া গোলের সঙ্গে অপর গোলটি করেছেন জোসেফ মার্তিনেজ। ওরলাল্যান্ডোর হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন সিজার আরাহো।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে মার্তিনেজের দূরপাল্লার জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন ওরল্যান্ডো গোলরক্ষক। তবে এর দুই মিনিট পর মেসিকে আটকাতে পারেননি তিনি। বাঁ প্রান্ত থেকে রবার্ট টেইলরের অসাধারণ থ্রু বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

তবে ১০ মিনিট পরই সমতায় ফেরে ওরল্যান্ডো। মাউরিসিও পেরেইরার কাছ থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত থেকে ইভান আঙ্গুলোর শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। তবে আলগা বল পেয়ে যান আরাহো। তার জোরালো শট ঠেকাতে পারেননি এই গোলরক্ষক।

২১তম মিনিটে গোলদাতা আরাহোকে ধাক্কা দিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন মেসি। পরের মিনিটে ওরল্যান্ডোর ডানকান ম্যাকগুরের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান মায়ামি গোলরক্ষক ক্যালেন্ডার। ৩১তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি। মার্তিনেজের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে শট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বারপোস্টে লেগে বেরিয়ে যায় তার শট।

৪১তম মিনিটে রবার্ট টেইলরের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। তিন মিনিট পর মেসির নেওয়া ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান ওরল্যান্ডো গোলরক্ষক। ম্যাচের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন বেঞ্জামিন ক্রিমাস্কি। কিন্তু লক্ষ্যেই শট নিতে পারেননি তিনি। 

৫১তম মিনিটে মার্তিনেজের সফল স্পটকিক থেকে ফের এগিয়ে যায় মায়ামি। ডি-বক্সে তাকে ফাউল করেছিলেন অ্যান্টোনিও কার্লোস। ৬০তম মিনিটে মেসির পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে যান টেইলর। তবে লক্ষ্যে শট না নিয়ে তিনি পাস দেন মার্তিনেজকে। দুই ডিফেন্ডারের বাঁধায় সে বল আর নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ভেনেজুয়েলার এই স্ট্রাইকার।

৬৪তম মিনিটে মাঠে নামেন জর্দি আলবা। আট মিনিট ব্যবধান আরও বাড়ায় মায়ামি। বাঁ প্রান্ত থেকে টেইলরের ক্রস বল পান মার্তিনেজ। বুক দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাড়ান ফাঁকায় থাকা মেসির কাছে। আরও একটি জোরালো ভলিতে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি মায়ামি অধিনায়কের। এরপর দুই দল আরও কিছু সুযোগ পেলেও গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসির দল।