ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা: এএসআইসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

বর্তমানে জামিনে থাকা এই ৩ জন নিজেদের নির্দোষ উল্লেখ করে ন্যায়বিচার দাবি করেন।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের জেল

১০০ পিস ইয়াবা রাখার অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আসামিরা হলেন—পল্লবী থানার সাময়িক বরখাস্ত এএসআই মাহবুব আলম এবং তার তথ্যদাতা মোহাম্মদ রুবেল ও সোহেল রানা।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম তাহমিনা হক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পাঠ করেন।

এরপর বর্তমানে জামিনে থাকা এই ৩ জন নিজেদের নির্দোষ উল্লেখ করে ন্যায়বিচার দাবি করেন।

এর আগে ম্যাজিস্ট্রেট মামলার তদন্ত থেকে অব্যাহতি চেয়ে তাদের করা আবেদন খারিজ করে দেন।

আগামী ২৬ ডিসেম্বর মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে বলা হয়, এই ৩ আসামি অবৈধভাবে ইয়াবা বহন করতেন।

অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ খলিলকে গ্রেপ্তার করা এএসআই মাহবুব আলম অবৈধভাবে ১০০ পিস ইয়াবা বহন করছিলেন। তার দুই তথ্যদাতা রুবেল ও রানা তাকে এ অপরাধে সহায়তা করেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এএসআই মাহবুব এসআই কামরুল ইসলামকে মিথ্যা তথ্য দেন ও বানোয়াট জব্দ তালিকা তৈরি করেন, যার ভিত্তিতে এসআই কামরুল খলিলের বিরুদ্ধে ১০০ পিস ইয়াবা রাখার অভিযোগে মামলা করেন।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ফুটেজে দেখা যায়, ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের কাছে সাদা পোশাকে এএসআই মাহবুব খলিলকে থামিয়ে তাকে তল্লাশি করছেন। সে সময় মাহবুব রুবেলের কাছ থেকে এক প্যাকেট ইয়াবা নিয়ে খলিলের পকেটে ঢুকিয়ে দেন। এরপর তিনি খলিলকে ইয়াবাসহ ধরেছেন বলে দাবি করেন।

খলিলকে ৭ সেপ্টেম্বর কারাগারে পাঠানো হয় এবং পরে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

2h ago