এক জালেই ৯৬ মণ ইলিশ

কুয়াকাটার মহিপুর মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিস আড়তে গতকাল সোমবার নিলামে এই ইলিশ মাছ প্রায় ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন মিজান মাঝি। ছবি: সংগৃহীত

ইলিশের খোঁজে গত সপ্তাহে নোয়াখালী থেকে গভীর সাগরে ট্রলার নিয়ে রওনা হয়েছিলেন মিজান মাঝি। জাল ফেলেছিলেন পায়রা বন্দর সংলগ্ন রামনাবাদ চ্যানেলের মোহনায়। এক বারেই সেই জালে ধরা পড়েছে ৯৬ মণ ইলিশ।

এফবি ভাই ভাই নামের ট্রলারের মালিক মিজান মাঝি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ১৬ জন জেলে নিয়ে ৫ দিন আগে নোয়াখালীর সামরাজ এলাকা থেকে ইলিশ ধরার জন্য গভীর সাগরে রওনা দিই। রোববার সাগরে কয়েকবার জাল ফেললেও মাছের দেখা মিলছিল না। শেষে পায়রা বন্দরের শেষ বয়ার কাছে সাগরে জাল ফেললে একবারে (এক টানে) ধরা পড়ে ৯৬ মণ ইলিশ।

গতকাল দুপুরে কুয়াকাটার মহিপুর মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিস আড়তে নিলামে এই মাছ প্রায় ৪০ লাখ টাকায় (৩৯ লাখ ৭০ হাজার) বিক্রি করেন মিজান মাঝি।

চলতি মৌসুমে কোনো জেলের জালে এটাই সর্বোচ্চ পরিমাণ ইলিশ ধরার খবর।

মিজান বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। মাছ পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে। এ মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে দেনা শোধ করতে পারব।

মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলু গাজী জানান, চলতি বছর ইলিশ মৌসুম শুরু পর থেকে এ পর্যন্ত মিজান মাঝির জালে সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়ল। মৌসুমের শুরুতে এক জালে এত বিপুল পরিমাণ মাছ ধরার খবর খুবই আনন্দের। এ বছর বেশি পরিমাণে মাছ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছি। তবে এখন অন্যান্য জেলেদের জালেও কম-বেশি ইলিম মাছ ধরা পড়তে শুরু করেছে।

সাগর থেকে ফিরে আসা এফবি মরিয়ম ট্রলারের মাঝি আবদুল মন্নান বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে নামতে না নামতেই আবহাওয়া খারাপ ছিল। আবহাওয়া ভালো হওয়ার পর আবার জেলেরা সাগরে যাচ্ছেন। ভালো মাছও পাওয়া যাচ্ছে। সামনে আরও বেশি পরিমাণে মাছ ধরা পড়বে বলে আশা করছি।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম চলছে। শুধু মিজান নয় আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সব জেলের জালেই ধরা পড়বে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ। জেলেদের জালে এখন বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ার বিষয়টি ৬৫ দিনব্যাপী নিষেধাজ্ঞারই সুফল।'

Comments

The Daily Star  | English

Tax authority to split. Will it bring the desired outcome?

Touted as a historic overhaul, the move has ignited debate over whether it will drive meaningful reform or merely deepen the layers of bureaucracy, given the NBR's persistent failure to meet its targets.

15h ago