সিজিপিএ শর্ত শিথিলের দাবিতে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধ। ছবি: প্রথম আলোর সৌজন্যে

সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দেওয়ার দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নীলক্ষেত মোড় রাস্তা অবরোধ করে রাখেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ১ ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীবাসী। পরে পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে দেরিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিষয়টি উল্লেখ করে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী তসলিম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন আমাদের নিয়ম হচ্ছে প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে সিজিপিএ ২, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বর্ষে সিজিপিএ ২.২৫ এবং তৃতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রমোশন পেতে ২.৫ পেতে হবে। তা না হলে আবারও আগের বর্ষে থাকতে হবে। আমরা চাই এই সিজিপিএর শর্ত শিথিল করা হোক।'

'ধরুন প্রথম বর্ষের কোনো শিক্ষার্থী ফাইনাল পরীক্ষা দিল। ৮-৯ মাস পরে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। সেখানে দেখা গেল সে অকৃতকার্য হয়েছে, অর্থাৎ সিজিপিএ ২ এর কম পেয়েছে। এখন এই ৯ মাস কিন্তু সে দ্বিতীয় বর্ষে ক্লাস করেছে। এখন অকৃতকার্য হওয়ার ফলে তাকে আবার প্রথম বর্ষের সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। কিন্তু সে তো ৯ মাস দ্বিতীয় বর্ষে ক্লাস করল, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষাও দিল। এখন প্রথম বর্ষের সব বিষয়ে আবার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাবে কীভাবে?,' ব্যাখ্যা করেন তিনি।

তসলিম চৌধুরী আরও বলেন, 'প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত সব বর্ষের অনেক শিক্ষার্থীই এই অনিয়মের ভুক্তভোগী। আমরা চাই সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে ৩ বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দেওয়া হোক।'

উল্লেখ্য, দেরিতে ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে এর আগেও একাধিকবার নীলক্ষেত মোড়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago