যতদিন এদেশের সিনেমা থাকবে ততদিন রাজ্জাক নামটি থাকবে: ববিতা

নায়ক রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

'টাকা আনা পাই' সিনেমায় নায়করাজ রাজ্জাকের বিপরীতে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছিলেন বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ববিতা। ১৯৭০ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমার পর অনেক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন রাজ্জাক-ববিতা জুটি।

'পিচ ঢালা পথ', 'আলোর মিছিল', 'বাঁদী থেকে বেগম', 'বিরহ ব্যথা', 'সোহাগ'সহ আরও অনেক সিনেমায় দেখা গেছে এ দুজনকে। অমর প্রেমের সিনেমা 'লাইলি মজনু' তাদেরকে দর্শকদের কাছে আজও ভালোবাসায় সিক্ত করে রেখেছে।

'স্বরলিপি' এবং 'অনন্ত প্রেম' রাজ্জাক-ববিতা জুটির ক্যারিয়ারের সাড়া জাগানো দুটি সিনেমা।

আজ ২১ আগস্ট নায়ক রাজ্জাকের প্রয়াণ দিবস। তাকে নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন ববিতা।

ববিতা বলেন, 'এক কথায় যদি বলতে হয় তাহলে বলবো নায়করাজ রাজ্জাক একটি ইনস্টিটিউট। তিনি ঢাকাই সিনেমার একটি প্রতিষ্ঠান। এটা কিন্তু সহজ কথা নয়। তিনি এদেশের সিনেমার জন্য কতটা নিবেদিত ছিলেন তা কেবল তার চলচ্চিত্র জীবন দেখলেই আমরা বুঝতে পারি। কাজেই তার মতো এইরকম একজন শিল্পীকে হারিয়ে আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেছে, যা কখনোই পূরণ করা সম্ভব নয়।'

ববিতা। ছবি: স্টার

'রাজ্জাক ছিলেন আমার পারিবারিক অভিভাবক, ভাই ও বন্ধু। তার পরিবারের সবার সাথে আমার দারুণ সম্পর্ক ছিল। কখনোই মনে হয়নি আমরা দূরের কেউ। যেকোন পারিবারিক অনুষ্ঠানে তিনি নিমন্ত্রণ করতেন। সেইসব নিমন্ত্রণে আড্ডা হত, খাওয়া দাওয়া হত,' বলেন তিনি।

ববিতা আরও বলেন, 'তিনি কেবল আমার নায়ক ছিলেন না। আরও অনেক নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করে গেছেন। আমার বড় বোনের সাথে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন। আমার অভিনয় জীবনে যে কজন নায়কের সাথে কাজ করে ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হয়েছে, রাজ্জাক তাদের মধ্যে অন্যতম। আজও, নতুন প্রজন্মের দর্শকরাও, সেইসব সোনালি দিনের সিনেমাগুলো দেখেন।'

স্মৃতিচারণ করে এই অভিনয়শিল্পী বলেন, 'অভিনয় জীবনে কত স্মৃতি রাজ্জাক ভাইয়ের সাথে! অবসরে সেসব কথা মনে পড়ে। তিনি নেই, এটা ভাবলেই মন খারাপ করে। বড় কথা হচ্ছে, এদেশের চলচ্চিত্রের জন্য তিনি সর্বদা ভাবতেন। তার ধ্যানে ও ভালোবাসায় ছিল ঢাকাই সিনেমা। সিনেমার প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল বলেই তিনি বহুদূর যেতে পেরেছিলেন। যতদিন এদেশের সিনেমা থাকবে ততদিন রাজ্জাক নামটি থাকবে।'

'তার অভিনয় নিয়ে বলতে চাই না। এটা যুগ যুগ ধরে দর্শকরা দেখেছেন এবং এখনো দেখছেন। তার মেধার তুলনা হয় না। এটুকু বলব, সহশিল্পী হিসেবে তিনি ছিলেন অসাধারণ। মানুষকে সম্মান দিতে জানতেন। মানুষকে ভালোবাসতেন,' বলেন তিনি।

প্রয়াণ দিবসে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

1h ago