নাগরিকের তথ্য জানার অধিকার ও প্রয়োজন আছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, একটা ছবি যেমন অনেক শব্দ প্রকাশ করে থাকে, ঠিক তেমনি একটা কার্টুনও মিলিয়ন শব্দ প্রকাশ করে।

একজন নাগরিকের কোনো কিছু জানার অধিকার এবং প্রয়োজন দুটোই আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আজ শুক্রবার ঢাকার রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক ও বিখ্যাত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের স্মরণসভা এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি-রাজনীতিতে কার্টুনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ঢাকার রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সভাপতিত্ব করেন ঢাকার রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালায়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা হয়। কেউ এটা মানে, কেউ মানে না। ওয়েজ বোর্ড যেহেতু সবার সঙ্গে আলোচনা করেই হয়েছে, তাহলে মানবে না কেন? না মানার স্কোপ কোথায়? সাংবাদিকতা পেশায় নিরাপত্তার জন্য ওয়েজ বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে, এটা আমি বুঝতে পারি। আমি নিজেও সরকারি চাকরি করেছি। আমরা যেমন নিরাপত্তা পাই, আপনারা সাংবাদিকরা তেমনটা পান না।'

'আবার কেউ কেউ নানা শর্টকাট উপায়ে অনেক দূর চলে যান। কিন্তু যারা মূলধারার সাংবাদিকতা করেন তাদের জীবন অনেক ঝড়-ঝাপটার। আমার ছোটবেলার অনেক সাংবাদিক বন্ধুকে দেখেছি, ঢাকায় অনেক কষ্ট করেছেন', যোগ করেন তিনি।

ছবি: স্টার

এম এ মান্নান আরও বলেন, 'আমাদের দেশে পরিবর্তন হচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। অস্বীকার করব না সেখানে অনেক গ্যাপ আছে, দৃশ্যমান ঘাটতি আছে, অন্যায় আছে। বাংলাদেশ সৃষ্টি থেকে বর্তমান সময়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে এটা নিশ্চিত। সেখানে এই পেশায় আপনারা যারা ভূমিকা পালন করছেন, আপনাদের প্রতি সমাজের এবং রাষ্ট্রের অবশ্যই দায়িত্ব আছে।'

তিনি বলেন, 'আমাদের সবার উচিত কুদ্দুসের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আমি তার স্ত্রীর একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা ব্যবস্থা করা হবে।'

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, 'কুদ্দুস ছিলেন বাংলাদেশ কার্টুন জগতের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। তিনি একদিনে তৈরি হননি। প্রচার করা হলে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে যেতেন।'

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের ফলে সাংবাদিকরা ভয়ের মধ্যে রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা। আগের মত সাহসী কার্টুন পেতে এবং দেশের মানুষকে সঠিক তথ্য জানাতে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে নূরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, 'রাজবাড়ীর মানুষ কুদ্দুসকে কীভাবে চেনেন আমি জানি না, তবে তার কার্টুন সারা বাংলাদেশে ছেয়ে গেছে। কুদ্দুসরা শুধু রাজবাড়ীর সম্পদ নয়, সারাবিশ্বের সম্পদ।'

কুদ্দুসের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা বলেন, 'কুদ্দুস ছিলেন খুবই বিনয়ী। তার অকাল প্রয়াণ আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার।'

অনুষ্ঠানে কার্টুনিস্ট কুদ্দুসের কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন দৈনিক সংবাদের সাব এডিটর ওবায়েদ আকাশ, নয়া দিগন্তের চিফ রিপোর্টার ও সমিতির অর্থ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের পান্থ আফজাল, সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অরণ্য গফুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক চন্দন সান্যাল।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদজ রিমন রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাসিক সরগমের সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা রশীদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি ও সমিতির সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, দপ্তর সম্পাদক শামীম মোল্লা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাহিদুর রহমান হিমেল, ক্রীড়া সম্পাদক শাহেদ আলী ইরশাদ, কল্যাণ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক শামস সোহাগসহ আরও অনেকে।

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

1h ago