লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম

তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, বন্যার পূর্বাভাস

তিস্তা
তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তাপাড়ে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবো জানায়, আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার এবং কুড়িগ্রামের কাউনিয়া পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

টানা বৃষ্টি ও আর উজানের পানিতে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে তিস্তাপাড়ের চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকা। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন শুক্রবার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তিস্তাপাড়ে স্বল্পমেয়াদী বন্যা হতে পারে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এসব নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে।' 

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, 'শনিবার সকালের মধ্যে তিস্তার পানি আরও ১৮-২০ সেন্টিমিটার বাড়তে পারে।'

যোগাযোগ করা হলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুক্রবার বিকেল থেকে ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে তিস্তার পানি ঢুকছে। রাতে তিস্তার পানি আরও বাড়লে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে মানুষজন নিরাপদ চলে আসবে।'

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আনতে নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা।

এদিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিস্তা নদীতে সামান্য পানি বাড়লেই তা উপচে পড়ে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে। নদী খনন না করায় তিস্তা নদীর বুকে বালু ভরাট হয়ে প্রায় সমতলের সমান হয়ে গেছে। এ কারণে তিস্তায় পানি বাড়লে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।'

তিনি জানান, তিস্তাপাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে পানিবন্দী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আনতে তারা প্রস্তুত আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Agri budget not enough to ensure food security: experts

The government has proposed a 3.55 percent rise in the budget allocation for agriculture, food, livestock and fisheries in the next fiscal year, setting aside Tk 39,620 crore..But agro-economists say the increase is far from sufficient to ensure the country’s long-term food security..<p

9m ago