মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপরে, ফেনীতে এবারও বন্যার আশঙ্কা

বৃষ্টিতে ফেনী শহরের রাস্তাঘাটে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমেছে। ছবি: স্টার

ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

অবিরাম বৃষ্টিতে পানি বাড়তে থাকায় ফুলগাজীতে মুহুরী নদীপাড়ের রাস্তা ভেঙে দুটি দোকান তলিয়ে গেছে। ফুলগাজী বাজার থেকে রাজেশপুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। ফেনীর প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের অন্তর্বর্তী সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। 

তবে শিক্ষা বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।

আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসন জানায়, মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

এর ফলে এ বছরও বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

ছবি: স্টার

গতকাল বিকেল থেকে ফেনীতে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বৃষ্টির পানিতে ফেনী শহর নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। শহরের অলিতে-গলিতে, কোথাও কোথাও সড়কে দুই থেকে তিন ফুট পানি জমেছে। গ্রামের রাস্তাঘাট অনেক এলাকায় তলিয়ে গিয়ে গেছে। 

ফেনী শহর ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে শহরের প্রধান সড়ক শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার রোড, রামপুর শাহীন একাডেমী এলাকা, পাঠান বাড়ি এলাকা, নাজির রোড, শান্তি কোম্পানি রোড ও পেট্রো বাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এসব এলাকার রাস্তাঘাটও পানিতে তলিয়ে গেছে। 

এতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।  

অটোরিকশা চালক বেলায়েত হোসেন বলেন, গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মানুষ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ বছরও যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে, আবারও বন্যা দেখা দিতে পারে। 

ছবি: স্টার

গতবারের অভিজ্ঞতায় এবার আগেভাগেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাওয়ার চিন্তা করছেন বলে জানান।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিয়া ইসলাম জানান, গতকাল থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে মুহুরী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সকাল ৭টার দিকে ফুলগাজীর রাজেশপুর সড়কের মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে দুটি দোকান নদীতে পড়ে গেছে। ওই গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 

ফেনী সদর উপজেলার ইউএনও সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, এখন প্রায় সব স্কুলেই ষাণ্মাসিক পরীক্ষা চলছে। সড়কে পানি ওঠায় অনেক স্কুলে অন্তবর্তী পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে বোর্ড পর্যায়ে চলমান পরীক্ষা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নোটিশ পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Rohingyas hurt in clash in Teknaf

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

11h ago