ডেইলি স্টারে সংবাদ প্রকাশের পর ২ চা বাগানের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ শুরু

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ১ মাস ৪ দিন কর্মবিরতির পর মন্ত্রিপরিষদের হস্তক্ষেপে চা শ্রমিকদের ৪২ দিনের মজুরি ও ২০১৯-২০ সালের পাওনা মজুরি ও বোনাসের ৫২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে ২ বাগানের মালিকপক্ষ।

শুক্রবার বিকেলে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের অফিস কক্ষে জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রফিকুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা পালের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও বোনাসের টাকা দেওয়া হয়। 

এই দুই বাগানের শ্রমিকের পাওনা বকেয়া নিয়ে গত ২২ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টার বাংলায় ও পরদিন পরদিন ইংরেজিতে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

শ্রমিকদের অভিযোগ ছিল, ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের ৩৬০ শ্রমিকের শ্রমচুক্তি মোতাবেক শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও এরিয়ার অর্থ বাবদ ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ অর্থবছরের ৮১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, এরিয়ার বোনাসের ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা মালিকপক্ষ পরিশোধ করছে না।

এ ছাড়াও, চা বাগান শ্রমিক ভবিষ্যৎ তহবিলের (পিএফ) ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা মালিকপক্ষ পিএফ কার্যালয়ে জমা না দেওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকরা পিএফ অর্থ পাচ্ছেন না।

বকেয়া পরিশোধের দাবিতে গত ২১ জুলাই থেকে ওই দুই চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করে। পরে সংকট সমাধানে ২২ আগস্ট মালিকপক্ষের সঙ্গে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে পর্যায়ক্রমে কিস্তি আকারে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের মালিকপক্ষের সঙ্গে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার চা শ্রমিকদের ৪২ দিনের মজুরি ও ২০১৯-২০ সালের এরিয়ার বকেয়া অর্থ-বোনাস বাবদ ৫২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।'

'পর্যায়ক্রমে তাদের সব পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে,' বলেন তিনি।

শ্রমিকরা জানান, তারা ৬ সপ্তাহের বকেয়া মজুরী ও ২০১৯-২০ সালের বকেয়া ও বোনাস বাবদ প্রত্যেকে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা করে পেয়েছেন।

ইমাম চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি রামভজন রবিদাশ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দীর্ঘ আন্দোলনের পর মন্ত্রিপরিষদের হস্তক্ষেপে শ্রমিকদের কিছু বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। শ্রমিকরা দ্রুত কাজে ফিরে যাবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

4h ago