বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও সব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও সব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও সব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে পারেনি।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান অত্যন্ত জরুরি। আমরা মনে করি, তাদের সমস্ত নাগরিক অধিকার দিয়ে, মর্যাদা বজায় রেখে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই হচ্ছে একমাত্র সমাধান। অন্য কোনো সমাধান এই সমস্যার জন্য হতে পারে না। আমরা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।'

আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে যে ধরনের চাপ মিয়ানমারের ওপর প্রয়োগ করা প্রয়োজন, সেই চাপ দেখা যাচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, চীনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ভারতের সঙ্গেও আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি এবং তারা মিয়ানমারকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।'

'আমরা আশা করছি, এই সমস্যার সমাধান হবে—অতীতেও যখন সমাধান হয়েছে, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনো সব রোহিঙ্গাকে তারা ফেরত পাঠাতে পারেনি। বিএনপি ৯১ সালে যখন ক্ষমতায় ছিল তখন যেমন এবং এর আগে ৭৬-৭৭ সালে যখন রোহিঙ্গারা এসেছিল তখনো সব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে পারেনি। তখনকার হাজার হাজার রোহিঙ্গা রয়ে গেছে। তারা নিজেরা যখন ক্ষমতায় ছিল; এ সমস্যা সমাধান সঠিকভাবে করতে পারেনি,' উল্লেখ করেন তিনি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো এখন মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদের আস্তানা হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সেখান থেকে ধর্মান্ধ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সেখান থেকে রিক্রুট করার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর কারণে সেখানে সামাজিক সমস্যা, আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হচ্ছে—শুধু যে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করছে তা নয়, এই সমস্যার সমাধান না হওয়া পুরো অঞ্চলের জন্য হুমকি স্বরূপ।'

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিদেশিদের কাছে ক্ষণে ক্ষণে দৌড়ে যায় বিএনপি। এখন বিদেশিদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপির এখন সুরটা বদলে গেছে। প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিকসে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্রিকসে যোগ দেওয়ার জন্য ৪০টির বেশি দেশ আবেদন করেছে, সেখান থেকে মাত্র ৬টিকে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও নেওয়া হবে। সুতরাং এখনই অন্তর্ভুক্ত না হওয়াটা; অনেক দেশের জন্যই সেটি প্রযোজ্য।'

'সারা পৃথিবীব্যাপী আমাদের বন্ধু আছে। আমাদের কোনো প্রভু নেই। আমরা সবার সঙ্গে সম্পর্ক, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়—এই পররাষ্ট্র নীতিতে চলছি। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে নিজে নিবন্ধ লিখে আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস না কেনার জন্য, বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য,' বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তিনি আরও বলেন, 'মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নিজে কনগ্রেসম্যান এবং অন্যান্যদের কাছে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আবার কিছু কংগ্রেসম্যানের সই জাল করে বিএনপি এখানে বিবৃতি দিয়েছিল, পরে ধরা খেয়েছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Trump calls for Iran's 'unconditional surrender' as Israel-Iran air war rages on

Israel and Iran attacked each other for a sixth straight day on Wednesday, and Israeli air power reigns over Iran, but needs US for deeper impact

8h ago