বাংলাদেশে শিশুর জীবনমান উন্নয়নে ১৫ কোটি ক্রোনার সহায়তা সুইডেনের

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শিশুদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ১৫ কোটি সুইডিশ ক্রোনার সহায়তা দিচ্ছে সুইডেন সরকার। 

স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াশ ও শিশু সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের কর্মসূচিকে সহায়তা করতে এই তহবিল ব্যবহার করা হবে। 

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, 'সুইডেন সরকারের এই অবদান ও বহুবছর মেয়াদি তহবিল ইউনিসেফ বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সেবা যথাযথ স্থানে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে, যেখানে এগুলোর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।'

এই সহায়তার মাধ্যমে ইউনিসেফ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালীকরণ, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সেবা প্রদান এবং সহিংসতা, নির্যাতন ও অবহেলা থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষাসহ চলমান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশে ইউনিসেফের সঙ্গে সুইডেন সরকারের অংশীদারত্ব একটি প্রকল্প-কেন্দ্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়ে শিশুদের, বিশেষ করে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের, অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদারত্বে রূপান্তরিত হয়েছে।'

এর মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর শিশুদের চাহিদা পূরণ ও অধিকার আদায়ে সহায়তা করতে টেকসই উদ্যোগগুলো নিশ্চিত করতে সুইডেন ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, 'সুইডেন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য বিনিয়োগ করা একটি সমাজের সার্বিক কল্যাণের জন্য অপরিহার্য। আমি ইউনিসেফের সাথে এই অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে পেরে আনন্দিত। এর মাধ্যমে সুইডেন বাংলাদেশে শিশুদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।'

ইউনিসেফ জানায়, ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত সুইডেন বাংলাদেশে ইউনিসেফকে ৬ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে এবং ইউনিসেফের বিশ্বব্যাপী প্রধান কর্মসূচিগুলোতে সহায়তাকারীদের মধ্যে সুইডেন বরাবরই অন্যতম।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago