লাল কার্ড এড়াতে পারলেও নিষেধাজ্ঞা পেলেন রোনালদো

ছবি: এএফপি

স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে একাধিক সুযোগ নষ্ট করে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো পেলেন না গোল। উল্টো বিপজ্জনক একটি ফাউল করে বসলেন তিনি। তাতে জাগল লাল কার্ড প্রাপ্তির শঙ্কা। সেটা এড়াতে পারলেও হলুদ কার্ড দেখায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেলেন পর্তুগালের অধিনায়ক।

২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে শতভাগ সাফল্যের ধারা ধরে রেখেছে পর্তুগিজরা। শুক্রবার রাতে বাছাইয়ের 'জে' গ্রুপের ম্যাচে স্লোভাকিয়ার মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে তারা। জমজমাট লড়াইয়ের প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান গড়ে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। তবে তার সতীর্থ রোনালদো ছিলেন বিবর্ণ।

ম্যাচের ৬১তম মিনিটে পাঁচবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী রোনালদো হতাশ করেন। নইলে ব্যবধান বাড়াতে পারত পর্তুগাল। ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থাকলেও বার্নার্দো সিলভার কাছ থেকে পাওয়া বলে ঠিকমতো শট নিতেই পারেননি তিনি। এরপর আলগা বলে আরেক দফা পা লাগানোর চেষ্টা করেন ৩৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ততক্ষণে বল ধরতে মাটিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক মার্টিন দুব্রাভকা। রোনালদোর বুট গিয়ে লাগে তার মুখে।

দুব্রাভকা শুয়ে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। ফাউলের জন্য তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে অবশ্য দেরি করেননি রোনালদো। পাশাপাশি রেফারিকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন যে বলে পা ছোঁয়াতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত রোনালদোকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়।

লাল কার্ড না পেলেও কেন সিআর সেভেন খ্যাত তারকা নিষিদ্ধ হলেন? ইউরোর বাছাইয়ে পাঁচ ম্যাচে এটি তার তৃতীয় হলুদ কার্ড। সেকারণে ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার উয়েফার নিয়ম অনুসারে তাকে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে আইসল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি।

নিষিদ্ধ হওয়ায় লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পর্তুগালের ফিরতি ম্যাচে খেলতে পারবেন না রোনালদো। আগামী সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত হবে খেলাটি। পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে 'জে' গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে পর্তুগিজরা। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া লুক্সেমবার্গ গোল পার্থক্য অবস্থান করছে তিনে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago