ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

‘যে কাজটি সিটি করপোরেশনের সেটিও আমরা করছি’

যে কাজটি সিটি করপোরেশনের সেটিও আমরা করছি
বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের হস্তান্তর অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ছবি: স্টার

ডেঙ্গুর কাছে সরকার বা স্বাস্থ্যখাত হেরে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, 'আমাদের যা চিকিৎসা দেওয়ার আমরা তার বাইরেও সচেতনতামূলক কাজও করে যাচ্ছি। আমরা টেলিভিশন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেই, মাইকিংও করছি। যে কাজটি সিটি করপোরেশনের সেইটিও আমরা করছি।'

আজ রোববার দুপুরে সাভারের জিরানী এলাকায় বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

'আমরা বার বার বলছি, মশা যে পর্যন্ত না কমবে, সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও কমবে না। কারণ মশার কামড়েই ডেঙ্গু রোগ হয়। কাজেই মশা নিধন করতে হবে। মশা নিধন করলেই রোগী কমবে, মৃত্যু কমবে,' যোগ করেন তিনি।

সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, 'মশা নিধন ছাড়া কিছু বলার নেই।'

তিনি বলেন, 'আমরা দেখেছি গতকালও ২ হাজার নতুন রোগী আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এখন পর্যন্ত দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়ে আছেন। এখনো ১০ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মশা নিধনের জন্য প্রত্যেকটি জায়গায় পরিষ্কার রাখতে হবে। শুধু ঢাকা-শহরে নয়, প্রতিটি জেলায় এই কাজ করতে হবে, তবেই মশা কমবে, তবেই ডেঙ্গু রোগী কমবে এর বাইরে আমাদের কিছু বলার নেই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, 'স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ আপনারা খুব ভালো করে জানেন। তাদের দায়িত্ব ডাক্তার-নার্সদের ট্রেইন করা। এ ছাড়া রোগীরা যাতে বেড পায়, ওষুধ পায় ও স্যালাইন পায়, সে কাজ সফলতার সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করে আসছে। বাইরে আমরা দেখলাম স্যালাইনের অভাব দেখা দিচ্ছে, কিন্তু আমাদের হাসপাতালে স্যালাইনের অভাব নেই। তার পরও আমরা সরকারিভাবে নির্দেশনা দিয়েছি, যেন ৭ লাখ স্যালাইন বাজারে আমদানি করে আনা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখবেন বাংলাদেশে স্যালাইন চলে এসেছে। আর লোকাল স্যালাইন তো তৈরিই হচ্ছে।'

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের যৌথ উদ্যোগে ২০১৪ সালে শুরু হওয়া 'বাংলাদেশের নির্বাচিত অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় অন্ধত্ব প্রতিরোধ ও চোখের স্বাস্থ্য উন্নয়ন' প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ৯.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের অর্থায়নে এবং কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (কেওইসি) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়।

হাসপাতালটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক, হাসপাতালটির বাস্তবায়ন সংস্থা কেওইসির ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ইউন-ইয়ং, স্বাস্থ্য সেবা খাতের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা খানম, কেওইসির কান্ট্রি ডিরেক্টর তেয়ং কিম, ডিজিএইচএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

 
 

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

1h ago