প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ঠার বৈঠক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়কারী জন কারবি মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘(নির্বাচনের পাশাপাশি) তারা জলবায়ু পরিবর্তনসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জ্যাক সুলিভান। ফাইল ছবি: বাসস-রয়টার্স
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জ্যাক সুলিভান। ফাইল ছবি: বাসস-রয়টার্স

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সুলিভান অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়কারী জন কারবি মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে বলেন, '(নির্বাচনের পাশাপাশি) তারা জলবায়ু পরিবর্তনসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করেছেন।'

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটনে যান। তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের দূতাবাস পরিদর্শন করেন। বৈঠকটি সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও কাউন্সিলর ডেরেক শলেতের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

এমন সময় এই বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হল যখন দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন চলছে।

এ বছরের ২২ মে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি প্রণয়ন করে, যেখানে বলা হয়, এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারে বাধা দেওয়া এবং নানা প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

২০২১ সালে ওয়াশিংটন র‍্যাবের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করে।

Comments