৫০১ প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত বাগেরহাটের শিকদার বাড়ির ভাস্কর শিল্পীরা
বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ির দুর্গাপূজা করোনা সংক্রমণের আগে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি মূর্তি নিয়ে পালিত দুর্গাপূজার স্থান দখল করে নিয়েছিল। তবে, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে তিন বছর স্বল্প পরিসরে হওয়ার পর এবার ৫০১টি প্রতিমা নিয়ে আগের রূপে ফিরছে শিকদার বাড়ির দুর্গাপূজা।
৬৫ ফুট লম্বা কুম্ভকর্ণের প্রতিমাসহ ৫০১টি প্রতিমা তৈরিতে কর্মব্যস্ততায় পার করছেন বাগেরহাটের শিকদার বাড়ির প্রতিমা তৈরির ভাস্কর ও শিল্পীরা।
২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি যুগের পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে প্রতিমা তৈরি কাজ চলছে জোরেশোরে।
খুলনা থেকে প্রতিমা তৈরি দেখতে আসা রমেশ মন্ডল বলেন, করোনা শুরুর আগে এই মন্ডপে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন করে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে জেনে এ বছর আগেই দেখতে এলাম। প্রতিমা তৈরি দেখেই আমি অভিভূত।
প্রতিমা তৈরির ভাস্কর তপন মন্ডল বলেন, এবছর এ মন্ডপে হিন্দু পুরাণের চার যুগের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে ৫০১টি প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। এই দুর্গা মন্ডপের প্রধান আকর্ষণ ৬৫ ফুট ঘুমন্ত কুম্ভকর্ণের প্রতিমা। এছাড়া বেশিরভাগ মূর্তির কাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন রং করার পালা। আমরা মোট ১৫ জন ভাস্কর-শিল্পী প্রতিমা তৈরি ও সাজ-সজ্জার কাজে নিয়োজিত আছি।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটি বাগেরহাটের সভাপতি নিলয় কুমার ভদ্র বলেন,অনেক দেব দেবীর প্রতিমা তৈরি করে পূজার আয়োজন করা হয় বলে হাকিমপুর শিকদার বাড়িত বাড়ির দুর্গা মন্ডপকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গা মন্ডপ বলা হয়। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার অনেক পুণ্যার্থী এ মন্দিরে আসে। এবছর পূর্বের ন্যায় আড়ম্বর ও বিশেষ আকর্ষণসহ ৫০১টি প্রতিমা নিয়ে উৎসব উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত বছর ২০২২ সালে বাগেরহাট জেলায় ৬৬৮টি মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছিল। এবছর দুর্গাপূজা কিছু বেশি হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Comments