‘দেশের চামড়াজাত পণ্য বৈশ্বিক ভ্যালু চেইনে আসা উচিত’
বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য ও জুতা শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে বৈশ্বিক ভ্যালু চেইনে যুক্ত হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।
তাদের মতে, শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন একটি দেশের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার উন্নতি করতে পারে এবং পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে। তাই বাংলাদেশকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শোর (বিএলএলআইএসএস) 'গ্লোবাল ভ্যালু চেইনের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করা' শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এ মন্তব্য করেন।
গতকাল শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় তিন দিনের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
আমান বাংলাদেশ লিমিটেডের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর মীর এহসানুল হক সেমিনারে বলেন, বৈশ্বিক জুতা শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের জন্য বাংলাদেশে যা যা প্রয়োজন তার সবই আছে। কিন্তু, তারপরও দেশ চামড়াজাত পণ্য ও জুতা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি যতটা অর্জন করা দরকার ততটা করতে পারছে না।
তিনি জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ এক দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করেছে।
ম্যাফ সুজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনাত মোহাম্মদ আবু ওবায়দা বলেন, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা শিল্পে ভ্যালু চেইন ব্যয়সাশ্রয়ী, টেকসই ও নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক উৎপাদন কেন্দ্র হওয়ার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এলএফএমইএবি ও সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত ছয় বছরে এই খাতে প্রায় ১২০টি নতুন কারখানা হয়েছে।
জিআইজেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সিলভিয়া পপ সেমিনারে বলেন, বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় বিদেশি ব্যান্ডের পণ্যের উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় এ খাতের অনেক সম্ভাবনা আছে।
Comments