ইসরায়েলকে ১৪০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে বাইডেন প্রশাসন

গতকাল হোয়াইট হাউজ থেকে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স
গতকাল হোয়াইট হাউজ থেকে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতির জন্য ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধে 'মানবিক যুদ্ধবিরতি' চেয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে ভেটো দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র এখন ইসরায়েলের জন্য বড় অঙ্কের সামরিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে।

রয়টার্স ও আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আজ শুক্রবার কংগ্রেসের অনুমোদনের জন্য এই বাড়তি সহায়তার প্রস্তাব উত্থাপন করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, তিনি শুক্রবার কংগ্রেসের কাছে 'গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার' ইসরায়েলের জন্য বাড়তি অর্থায়নের অনুমোদন চাইবেন। সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, এই অর্থের পরিমাণ হবে এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ইসরায়েলকে বছরে ৩২০ কোটি ডলার সামরিক সহযোগিতা দিচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হতে যাচ্ছে বাড়তি এই সহযোগিতা।

ইসরায়েলের কাছে এই অর্থ খুব দ্রুত না পৌঁছালেও এটি অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা এবং গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের মজুত বাড়াতে সহায়তা করবে।

বিশেষ করে, হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাতে দ্বিতীয় কোনো রাষ্ট্র জড়িয়ে পড়লে, সেক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা ইসরায়েলের কাজে আসবে।

বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য বড় উদ্বেগের, যে কারণে তিনি বারবার ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানোর বিষয়ে সতর্কবাণী দিয়েছেন।

তিনি জানান, কোনো রাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাতে চায়, তাহলে এ মুহূর্তে তাদের সেটা করা উচিত হবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, ভিন্ন দেশের হামলার আশঙ্কায় মূলত ভূমধ্যসাগরের পূর্ব প্রান্তে রণতরীসহ নানা যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিন হাজার ৭৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, নিহতদের মধ্যে এক হাজার ৫২৪ জন শিশু, এক হাজার নারী ও ১২০ জন বয়স্ক রয়েছেন।

এ ছাড়াও, আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৪৯৩ ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় তাদের এক হাজার ৪০০ নাগরিক নিহত হয়েছেন ও ১৯৯ জনকে জিম্মি করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Why was July 2025 wetter in Bangladesh?

Bangladesh experienced three low-pressure systems on July 7, July 14 and July 24 which led to heavy rain

25m ago