২ সপ্তাহ ধরে অচল কক্সবাজার রাডার স্টেশন

সুইডিশ শিশু কল্যাণ সংস্থা ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় ১৯৬৯ সালে কক্সবাজারে রাডার স্টেশন স্থাপন করা হয়। 
কক্সবাজার রাডার স্টেশন। ছবি: সংগৃহীত

গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম বার্তা সংগ্রহ করতে পারছে না দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কক্সবাজারের রাডার স্টেশন। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে স্টেশনটি অচল অবস্থায় আছে।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি অচল থাকার কথা আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বীকার করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. ইমাম উদ্দিন।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে সুইডিশ শিশু কল্যাণ সংস্থা ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় কক্সবাজার রাডার স্টেশনটি স্থাপন করা হয়। 

পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ২২ এপ্রিল জাপান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় রাডার স্টেশনটির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আধুনিকায়ন করা হয়। 

আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. ইমাম উদ্দিন বলেন, 'গত দুই সপ্তাহ ধরে কক্সবাজার রাডার স্টেশনটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অচল রয়েছে। এ রাডারের মাধ্যমে কক্সবাজার স্টেশন থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত সমুদ্র এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা যায়।'

'কিন্তু সম্প্রতি যান্ত্রিক ক্রটির কারণে এটি অচল থাকায় আবহাওয়ার সার্বিক তথ্যাদি যথাযথভাবে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশের অন্য রাডার স্টেশনগুলো সচল থাকায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য নেওয়া যাচ্ছে। কক্সবাজারের রাডারটি সচল থাকলে আরও তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব হতো,' বলেন তিনি।

রাডার স্টেশনটি কক্সবাজার জেলা শহরের পাহাড়ের চূড়ায় জেলা সার্কিট হাউজের পাশে অবস্থিত। সমতল ভূমি থেকে ১৬০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় প্রায় ৯৯ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ভবনের উপর রাডারটি স্থাপন করা হয়।

স্টেশনটি বাংলাদেশের আবহাওয়ার অবস্থান ও পূর্বাভাস দেয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আবহাওয়ার আগাম সতর্কতা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

এ রাডারের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য ভি-স্যাটের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে আবহাওয়া দপ্তর জানতে পারে। এর কারণে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস দেওয়ার সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

Comments