ইসরায়েলি হামলায় আল জাজিরার সম্প্রচার প্রকৌশলীর পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত

গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থীশিবির জাবালিয়া রিফিউজি ক্যাম্পে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় বাবা ও দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন গাজায় আল জাজিরা ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান।
ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলার পর গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থীশিবির জাবালিয়া রিফিউজি ক্যাম্পের অবস্থা। ছবি: রয়টার্স

গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থীশিবির জাবালিয়া রিফিউজি ক্যাম্পে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় বাবা ও দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন গাজায় আল জাজিরা ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান।

আজ বুধবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর এই বোমা হামলাকে একটি 'হত্যাযজ্ঞ' এবং 'ক্ষমার অযোগ্য কাজ' উল্লেখ করে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ইসরায়েলি বাহিনীর জঘন্য এবং নির্বিচার বোমা হামলায় আমাদের এসএনজি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন, এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।'

এতে বলা হয়, 'জাবালিয়া রিফিউজি ক্যাম্পে ইসরায়েলের ক্ষমার অযোগ্য হত্যাযজ্ঞে মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের বাবা, দুই বোন, আট ভাগ্নে ও ভাগ্নি, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের চার সন্তান, ভগ্নিপতি এবং এক চাচা প্রাণ হারিয়েছেন।'

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, উত্তর গাজার জাবালিয়া রিফিউজি ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এর নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

গত ২৫ অক্টোবর ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় আল জাজিরার আরবি বিভাগে কর্মরত সাংবাদিক ওয়ায়েল আল-দাহদু পরিবারের ১২ সদস্য হারানোর কয়েকদিন পরই এ ঘটনা ঘটল।

Comments