রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব দেশি উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোয়

এয়ারলাইন্স

দেশব্যাপী অবরোধ চলাকালে সহিংসতার আশঙ্কায় অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় তা স্থানীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ও এয়ার অ্যাস্ট্রার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ২৯ অক্টোবর থেকে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধের কারণে যাত্রী সংখ্যা কমপক্ষে ২৫ শতাংশ কমেছে।

কয়েকটি রুটে, বিশেষ করে পর্যটন স্থানগুলোয়, যাত্রী সংখ্যা এতটাই কমেছে যে বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো ফ্লাইট বাতিল করতে বা ফ্লাইটের সংখ্যা কমাতে বাধ্য হচ্ছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতা এমন এক সময় শুরু হয়েছে যখন পর্যটন স্থানগুলো পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা ও ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে ব্যবসায়িক মন্দা কাটানোর চেষ্টা করছে।

নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য ভরা মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সময় অনেককে ভ্রমণ করেন। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-অবরোধের কারণে কেউ অগ্রিম টিকিট বুকিং করছেন না।'

নভোএয়ার সাধারণত ঢাকা থেকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান কক্সবাজারে প্রতিদিন সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। যাত্রীরা অপ্রয়োজনীয় চলাচল এড়িয়ে চলায় প্রতিষ্ঠানটি এখন প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

বড় কর্পোরেটের কর্মীরা সাধারণত ছুটি বা অফিসের কাজে এ সময় অগ্রিম টিকিট বুক করে থাকেন। মফিজুর রহমান বলেন, 'এ বছর এ ধরনের বুকিং প্রায় নেই বললেই চলে।'

তিনি আরও বলেন, 'বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে যাত্রী সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে। এটি এয়ারলাইন্স ব্যবসার ওপর মারাত্মক আঘাত। আমরা প্রতিদিন লোকসান গুনছি।'

অভ্যন্তরীণ ছয় রুটে নভোএয়ার প্রতিদিন ৩৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যাত্রীর সংখ্যা সাধারণত ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। কিন্তু অবরোধ ও হরতালের কারণে এই সংখ্যা এখন ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশে নেমে এসেছে।'

কক্সবাজার ও সিলেটের মতো পর্যটন স্থানগুলোয় যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য রুটের তুলনায় কম।

তিনি আরও বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের করোনা মহামারির দুর্দশার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তখন বিমানবন্দরগুলোকে ফাঁকা মাঠের মতো দেখাচ্ছিল।'

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের ভেতরে সাত রুটে প্রতিদিন ৭০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

এয়ার অ্যাস্ট্রার এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পর্যটন সময়ে ভ্রমণ না করায় যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। শুধুমাত্র কিছু ব্যবসায়ী এখন যাওয়া-আসা করছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এয়ারলাইন্সগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'

এয়ার অ্যাস্ট্রা প্রতিদিন কক্সবাজার, সৈয়দপুর ও চট্টগ্রাম রুটে নয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

5h ago