সুযোগ থাকলে ঘোষণা দিতাম আমার পীর-আইডল শেখ হাসিনা: মমতাজ

সুযোগ থাকলে ঘোষণা দিতাম আমার পীর-আইডল শেখ হাসিনা: মমতাজ
মমতাজ বেগম | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেছেন, সুযোগ থাকলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পীর ও আইডল হিসেবে ঘোষণা দিতেন।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত উঠান বৈঠকে রোববার রাতে তিনি এ কথা বলেন।

মমতাজ বলেন, 'আমি আপনাদের অনেক ভালোবাসি, আপনারাও আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আর এই কাথাটা শেখ হাসিনা জানেন। আমি জানি না কীভাবে জানেন। আমাকে কয়দিন আগেও বলেছেন, শোনো, তোমাকে একটা কথা বলি, তোমাকে সাধারণ মানুষ ও মা-বোনরা অনেক ভালোবাসেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তোমার কিচ্ছু লাগবে না, আমি খালি মনোনয়ন দেবো আর তুমি শুধু সাধারণ মানুষ-নারীদের কাছে যাবে। দেখবে তোমার বাক্সভর্তি নৌকা।

'আমি বললাম, নেত্রী, আমার তো অত টাকা-পয়সা নাই, গানটান করে কামাই করি, তাই দিয়ে নিজে খাই-নিজে চলি, নিজে কিছু কাজকাম করি, যতটুকু পারি মানুষের পাশে...ওটা আসলে অত বড় কিছু না। আমি তো শিল্পপতি না! সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে চলার চেষ্টা করি। আমাকে তিনি আবার বললেন, শোনো, সততা আর নিষ্ঠার একটা মূল্য আছে। হাজার কোটি টাকা তোমার বিপক্ষে গিয়ে কোনো মানুষ ভাঙ্গে (খরচ করে), তোমার সততা-নিষ্ঠার কাছে ভেসে চলে যাবে,' বলেন মমতাজ।

মমতাজ বলেন, 'মানুষ তো বলে, নারীরা পীর হতে পারে না। এ জন্য নারীদের কাছে কেউ মুরিদ হয় না। যদি এই সিস্টেম থাকত, আমি ঘোষণাই দিয়ে দিতাম যে, আমার পীর, আমার আইডল, আমার সব কিছু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে মানুষটাকে আমার কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। যে মানুষটা সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে এ দেশের মানুষের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমি যদি ওই রকম একটা মানুষ হতে পারি, আমার জীবনে আর কিছু লাগবে না। এটাই আমি মনে করি।

'আমি আপনাদের বলবো, আপনারা শেখ হাসিনার সেই আস্থার জায়গাটা ধরে রাখবেন, একমাত্র শেখ হাসিনাই এ দেশের নারী জাতিকে অনেক উপরে নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, নারীদের সম্মান করতে হবে, নারীদের সম্মান দিতে হবে। তারা যাতে তাদের ন্যায্য সম্মান পুরুষের কাছ থেকে এবং সমাজের কাছ থেকে পায়,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago