ব্রাজিল সমর্থকদের লক্ষ্য করে থুতু মেরেছিলেন আর্জেন্টিনার দি মারিয়া

ছবি: রয়টার্স

ওই ম্যাচের পর পেরিয়ে গেছে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময়। কিন্তু মারাকানায় আক্ষরিক অর্থেই যে লড়াই হয়েছিল দুই দলের মধ্যে, সেটার উত্তাপ যেন কমছেই না! এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ব্রাজিল সমর্থকদের লক্ষ্য করে সেদিন থুতু মেরেছিলেন আর্জেন্টিনার উইঙ্গার আনহেল দি মারিয়া।

গত বুধবার সকালে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ব্রাজিলকে তাদের মাঠেই ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ শুরুর আগে গ্যালারিতে সংঘর্ষ বেঁধেছিল সমর্থকদের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্রাজিলিয়ান পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে হয়। তারা লাঠিচার্জ করেন আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর। এতে আরও গোলমাল বেঁধে যায়। আর প্রতিবাদস্বরূপ আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি তার সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান। তখনই ঘটে দি মারিয়ার থুতু মারার ঘটনা।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ড্রেসিংরুমে ঢোকার আগে টানেলে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের কয়েকজনের সঙ্গে গ্যালারিতে থাকা ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে, দি মারিয়ার দিকে বিয়ার ছুঁড়ে মারেন এক সমর্থক। তৎক্ষণাৎ কিছুটা সরে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার এই খেলোয়াড়। এরপর আগের জায়গায় ফিরে এসে থুতু মারেন দি মারিয়া।

সেদিন গ্যালারিতে দুই দলের সমর্থকদের মারামারির প্রেক্ষিতে খেলা শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর। সেই খেলাতেও উত্তেজনার পারদ ছিল চূড়ায়। আগ্রাসী শরীরী ভাষা আর একের পর এক ফাউলের ম্যাচে নিকোলাস ওতামেন্দির করা দ্বিতীয়ার্ধের গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। ম্যাচজুড়ে ফাউল হয়েছিল ৪২টি। যার ২৬টি রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল আর ১৬টি করেছিল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা। ছয় ম্যাচে আলবিসেলেস্তেদের অর্জন ১৫ পয়েন্ট। ব্রাজিল আছে উল্টো স্রোতে। টানা তিন ম্যাচ হেরে তারা নেমে গেছে ষষ্ঠ স্থানে। ছয় ম্যাচে মাত্র ৭ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। বাছাইপর্বে সেলেসাওদের অবস্থা এখন বেশ নাজুকই বলা চলে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago